আজ- ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  সকাল ৬:২৪

এমপি রানার জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর

 

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় এমপি আমানুর রহমান খান রানার জামিনের আবেদন আবারও নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার(২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৫০মিনিটে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি এমপি রানাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালতে হাজির করে জামিনের আবেদন করা হয়। এ সময় টাঙ্গাইল কারাগারে থাকা আরো তিন আসামি মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান রাজা ও সমিরকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা আসামি নাসির উদ্দিন নুরু, মাসুদুর রহমান মাসুদ ও ফরিদ আহম্মেদও আদালতে হাজিরা দেন।
আদালতের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সোয়া এগারোটায় এমপি রানা সহ অন্য আসামিদের উপস্থিতিতে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম এ চাঞ্চল্যকর মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার চতুর্থ সাক্ষী সরোয়ার হোসেন সরু ও পঞ্চম সাক্ষী সাবেক কাউন্সিলর শফিকুল হক শামীমকে সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য হাজির করে। পরে এ দুইজন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা দুপুর দেড়টায় সমাপ্ত হয়। এ সময় আসামিপক্ষ টাঙ্গাইল-৩(ঘাটাইল) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার জামিনের আবেদনের বিষয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী, মাহবুব আহম্মদ, টাঙ্গাইলের সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাকী মিয়া, আরফান আলী মোল্লা।
অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম খান। তাকে সহায়তা করেন, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম। পরে বিচারক আগামি ১৮ অক্টোবর এ মামলার পরবর্তী সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করেন। এরআগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাদির সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যদিয়ে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহন শুরু হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এ হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামি রয়েছে। গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর এমপি রানা বিগত ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিন্ম আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno