আজ- ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  সন্ধ্যা ৭:২০

ঘাটাইলে সাত শতাধিক ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ভাতা পাচ্ছেন!

 

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ১২ শতাধিক ভাতাভোগী বীরমুক্তিযোদ্ধার মধ্যে সাত শতাধিক ভূয়ামুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। এদের মধ্যে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র, পিচ কমিটির সদস্য, ভূয়া শহীদ পরিবার সহ অমুক্তিযোদ্ধারা ভাতা উত্তোলন করছেন। এমন অভিযোগে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ৮জন প্রতিবাদী বীরমুক্তিযোদ্ধা ঘাটাইলের অমুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা), মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী সহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছেন।
প্রতিবাদী বীরমুক্তিযেদ্ধাদের দাবি, ঘাটাইল উপজেলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছে এমন মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা পৌনে চারশ’ থেকে ৫শ’র অধিক নয়। সেক্ষেত্রে বিপুল সংখ্যক অমুক্তিযোদ্ধা বা ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা ভিন্ন পথে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম লেখিয়ে ভাতা উত্তোলন করায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
অভিযোগে যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে- ঘাটাইল পৌরসভার চান্দসী গ্রামের মৃত শুকুর আলী, আ. ছামাদ, শহীদ আ. করিম, দেউলাবাড়ি ইউনিয়নের খিলগাতী গ্রামের ময়েজউদ্দিন, পাঞ্জানা গ্রামের ফালু সেক, দয়াকান্দি গ্রামের আব্দুস সাত্তার খান(পিচ কমিটির সদস্য), ঝুনকাইল গ্রামের আ. সামাদ আলী, ঘাটাইল ইউনিয়নের বন্দকুলিয়া গ্রামের ওয়াহেদ খান (পিচ কমিটির সদস্য), বেংরোয়া গ্রামের ফজলুর রহমান খান(গেজেট নং-৬২৭৯), ঘাটাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেন (গেজেট নং-৬৩৮০), গোলাম মহিউদ্দিন (গেজেট নং-৬৩০৯), আ: খালেক (গেজেট নং-৬৩১০), এসএম আ. হক (গেজেট নং-৬৩১১), ডাকিয়া পোটল গ্রামের এমএ মজিদ (গেজেট নং-৬৩১২), দিঘলকান্দি ইউনিয়নের দত্তগ্রাম গ্রামের কাজী হাফিজুর, লাল মিয়া, আ. আজিজ ( গেজেট নং-৬৩১৩), আড়ালিয়া গ্রামের সৈয়দ মোশারফ হোসেন, বীরচারি গ্রামের মিজানুর রহমান, ধোপাজানী গ্রামের মোবারক আলী, আ. মালেক মিয়া, আ. আজিজ, গারট্ট গ্রামের খন্দকার তোফায়েল, ছামনা গ্রামের জয়েন উদ্দিন, ব্রাক্ষ্মনশাসন গ্রামের হাবিবুর রহমান, লুৎফর রহমান, রুহুল আমিন, দিগড় গ্রামের শহীদ আ. রহমান, শোলাকীপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম, শরাশাক গ্রামের ফজলুল করিম, বোয়ালীহাটবাড়ি গ্রামের আবুল কাশেম, আ. আজিজ, মফিজ উদ্দিন, তোরাব আলী, হাজিপুর গ্রামের সৈয়দ আম্বার হোসেন, কুশারিয়া গ্রামের মীর কাশেম, মীর ছামাদ, গর্জনা গ্রামের আবু সাইদ, আন্দিপুর গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন, লাউয়া গ্রামের আ. মজিদ, সিংগুরিয়া গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন, চেংটা গ্রামের আাজিজুর রহমান, শহরগোপিনপুর গ্রামের আ. ছালাম, মনোহরা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, সন্ধানপুর গ্রামের আ. রহিম, চক পাড়াগ্রামের আ. রশিদ মিয়া (গেজেট নং-৬২৮৭), ডৌজানি গ্রামের আ. ছাত্তার ( গেজেট নং-৬২৯০), আ. রাজ্জাক ( গেজেট নং- ৬২৯২), জামুরিয়া গ্রামের মতিউর রহমান (গেজেট নং-৬৩০৬), শেখশিমুল গ্রামের আ. ছালাম (গেজেট নং-৬৩৪০), মাইজবাড়ি গ্রামের মুহম্মদ মুজিবর রহমান (গেজেট নং-৬৩৪৮), মোস্তাফিজুর রহমান (গেজেট নং-৬৩৪৯), কালিদাসপাড়া গ্রামের জুলহাস উদ্দিন(গেজেট নং-৫২৬৬), আ. মতিন তালুকদার(গেজেট নং-৬২৬৭), বিয়ারা গ্রামের মৃত আকতার হোসেন (গেজেট নং-৫৪৫৮), জয়নাবাড়ি গ্রামের সাহাদত হোসেন মিয়া (গেজেট নং-৬৫৫৮) প্রমুখ।
এ বিষয়ে অভিযোগকারীদের মধ্যে গৌরাঙ্গী গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহাদৎ হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা প্রত্যক্ষ বিরোধীতা করেছে, যাদের কাছে মুক্তিযোদ্ধারা নির্যাতিত হয়েছে তারাই এখন বড় মুক্তিযোদ্ধা। তাদের অধিকাংশের মুক্তিবার্তার ‘লাল বই’য়ে নাম রয়েছে। এদেরকে ভাতা দিয়ে পুরো জাতিকে কলঙ্কিত করা হয়েছে।
ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা কীভাবে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় এলো এমন প্রশ্নের উত্তরে যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে যারা থানা বা উপজেলা ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলে দায়িত্বে ছিলেন এদের মধ্যে কিছু অসাধু অর্থলোভী চক্রের যোগ সাজসে এরা মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় যুক্ত হয়েছে। তিনি সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে সঠিক তালিকা প্রকাশ করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার দাবি জানান।
ঘাটাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার তোফাজ্জল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno