আজ- ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শনিবার  রাত ১:৫৮

টাঙ্গাইলে জাতীয় ফল কাঁঠালের বাম্পার ফলন

 

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলে এবারও চলতি মৌসুমে জাতীয় ফল কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। রমজানের শুরু থেকে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে কাঁঠাল বিক্রি হতে দেখা গেছে। বর্তমানে প্রায় বাজারেই কাঁঠালের মৌ মৌ ঘ্রাণ মন কেড়ে নেয়।
টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার ১২টি উপজেলায় ৫৭৪ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল চাষ করা হয়েছে। এ বছর কাঁঠালের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬০ হাজার মেট্রিকটন। জেলার প্রতিটি উপজেলার গাছগুলোতে প্রচুর কাঁঠাল ধরেছে। কাঁঠালের ভাল ফলন পেতে চাষীরা দিনরাত গাছ ও ফলের পরিচর্যা করছেন। কিছু কিছু গাছে কাঁঠাল আগাম পাকতে শুরু করেছে। এছাড়া কাঁচা সবজি হিসেবেও বাজারে কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে। কাঁঠাল উৎপাদনে খরচ কম থাকায় চাষীরা লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন। টাঙ্গাইলের উৎপাদিত কাঁঠাল জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১২টি উপজেলার সর্বত্রই প্রচুর কাঁঠাল গাছ রয়েছে। নির্ধারিত বাগান ছাড়াও সড়ক-মহাসড়ক, গ্রামীণ জনপদ, হাট-বাজার এবং বাড়ির আঙিণায়ও কাঁঠালগাছ বেড়ে ওঠে, ফল দেয়; এসব এলাকায় ব্যক্তিমালিকানায় কঁঠালগাছ রোপণ করা হয়। টাঙ্গাইল জেলার উত্তর ও পূর্বে পাহাড়ি অঞ্চলের লালমাটি কাঁঠাল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কাঁঠাল রসালো ও সুস্বাদু একটি ফল। এসব অঞ্চলে পরিকল্পিতভাবে কাঁঠালের বাগান করা না হলেও বাড়ির আঙিণাসহ রাস্তার পাশ দিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই কাঁঠাল গাছ রোপন করে থাকেন। কোন ধরনের সার, কীটনাশক এমনকি বিশেষ পরিচর্যা ছাড়াই এ গাছ আপনগতিতে বেড়ে ওঠে। কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল। যা প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ। গ্রাম-শহর উভয় অঞ্চলের লোকের কাছে এ ফলটি অত্যন্ত প্রিয়। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা কাঁঠালে রয়েছে ১.৮ গ্রাম প্রোটিন, ০.৩০ গ্রাম ফ্যাট, ২.৬১ গ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৭ গ্রাম লৌহ, ০.১১ গ্রাম ভিটামিন, বি-১ ০.১৫গ্রাম ভিটামিন বি-২ এবং ২১.৪ গ্রাম ভিটামিন ই। প্রতিটি মানুষের সুস্থ্য সবল স্বাস্থ্যের জন্য ও ভিটামিনের অভাব পূরণে সুস্বাদু কাঁঠাল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ফল। কৃষকরা জানান, কাঁঠালের সবচেয়ে বড় গুণ হলো এর কোন অংশই ফেলে দিতে হয় না। কাঁঠালের রস থেকে প্রচুর ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। কাঁঠালের বীজ এবং কাঁচা কাঁঠালের মোচা দিয়ে তরকারি রান্না করে খাওয়া যায়। কাঁঠালের খোলস ও পাতা গবাদিপশুর অত্যন্ত প্রিয় খাবার। এছাড়া ঘরসজ্জায় কাঁঠাল কাঠের আসবাবপত্র আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জেলায় এ বছর কাঁঠালের ফলন খুবই ভাল হয়েছে। জেলার বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের পাশে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গাছ লাগানো হয়েছে। এছাড়া বাড়ির আঙিণায় কাঁঠাল চাষ করা হচ্ছে। কাঁঠাল চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সারা বছর যাতে কাঁঠাল চাষ করা যায় এজন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno