আজ- ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  সকাল ৬:৩১

মহাসড়কে দুই ফ্লাইওভার ও চার আন্ডারপাস উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

 

দৃষ্টি নিউজ:

আসন্ন ঈদে বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন করতে দুইটি ফ্লাইওভার ও চারটি আন্ডারপাস যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাসগুলো উদ্বোধন করেন।
সূত্র জানান, বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলাসহ ২৬টি জেলার ৯০টি রুটের বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচল করে থাকে। দেশের ব্যস্ততম এই মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ২০১৩ সালে দুই লেনের এই মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এরপর ভূমি অধিগ্রহণ ও অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়- যা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হওয়ার কথা।
সূত্রমতে, প্রকল্পে দুটিতে সার্ভিস লেন, ২৯টি নতুন ব্রিজ, চারটি ফ্লাইওভার ও ১৪টি আন্ডারপাস সংযুক্ত হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। এজন্য মাঝে মধ্যে মহাড়কের বিভিন্ন স্থানে যানযটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ঈদ মৌসুমে এই যানজট নিত্য বছরের ঘটনায় পরিণত হয়। ভয়াবহ এই যানজটে আটকা পড়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার ধেরুয়া রেলক্রসিং এলাকায় যানজটের আটকা পড়ে দুর্ভোগের চিত্র ছিল বর্ণনাতীত।
মহাসড়কে ধেরুয়া এলাকার নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার ও সেতুগুলোর কাজ শেষ হলে গত বছর ঈদুল-আযহা’র আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী যানচলাচলের জন্য খুলে দেয়ায় ওই ঈদে যানজটের সেই চিরচেনা চিত্র ছিল না বললেই চলে। সেই থেকে মহাসড়কের চন্দ্রা, কালিয়াকৈর, হাটুভাঙা রোড, দেওহাটা, মির্জাপুর, কুর্ণী, ধল্যা, পাকুল্যা, নাটিয়াপাড়া, ঘারিন্দাসহ প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় বিগত দিনে যে যানজট লেগে থাকতো তা এরই মধ্যে অনেকটা দূর হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র এবং ভুক্তভোগীরা মনে করছেন।
টাঙ্গাইলের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল এহসান জানান, আসন্ন ঈদে এই মহাসড়ক দিয়ে হাজরো মানুষের ঘরে ফেরা নির্বিঘ্ন করতে শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুইটি ফ্লাইওভার এবং চারটি আন্ডারপাসের উদ্বোধন করেন। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন এমপি, টাঙ্গাইল-২(গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের এমপি তানভীর হাসান(ছোট মনির), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারীসহ বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌরসভার মেয়রসহ, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম জানান, উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা ফ্লাইওভার দুটি হলো কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা। অপরদিকে, আন্ডার পাসগুলো হচ্ছে কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও টাঙ্গাইল সদরের ঘারিন্দা। এরমধ্যে কোনাবড়ি ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য ১৬৪৫ মিটার, প্রস্থ ১৮.১ মিটার, চন্দ্রা ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য ২৮৮ মিটার, প্রস্থ ১৮.১ মিটার।
অপরদিকে মির্জাপুর, কালিয়াকৈর ও ঘারিন্দা আন্ডার পাসের দৈর্ঘ্য ৪০০মিটার, প্রস্থ ১৮.১ মিটার ও দেওহাটা আন্ডার পাসের দৈর্ঘ্য ২৬০ মিটার ও প্রস্থ ১৮.১ মিটার।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno