আজ- ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  সকাল ৭:১৪

মির্জাপুরে পূজার চাল নিয়ে চালবাজি!

 

মির্জাপুর সংবাদদাতা:

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার থেকে দেয়া জিআর চাল সিন্ডিকেট করে কম দামে কেনার অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী পূজারীরা।

জানাগেছে, দুর্গোৎসব উপলক্ষে দেয়া সরকার পূজা মণ্ডপগুলোতে জিআর চাল বরাদ্দ দেয়। ওই চাল মণ্ডপের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা সাধারণত বাজারমূল্যে বিক্রি করে টাকা পূজার কাজে লাগান। এবার চাল ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে অন্য বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেকমূল্যে পূজারীদের কাছ থেকে মাত্র ১০-১২ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়েছে।

একাধিক পূজা মণ্ডপের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক জানান, পূজা উপলক্ষে দেয়া জিআর চাল জেলার অন্য উপজেলার তুলনায় খুবই কম দামে একটি সিন্ডিকেট কিনে নিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে পশু-পাখিদের খাওয়ানোর চালও বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু পূজা উপলক্ষে দেয়া মণ্ডপ প্রতি ৫০০কেজি চালের প্রতি কেজি ১০-১২ টাকা মূল্যে ক্রয় করছে ওই সিন্ডিকেট। সে হিসেবে ৫০০ কেজি চালের বিপরীতে পূজারীরা পাচ্ছেন ৫-৬ হাজার টাকা। কিন্তু টাঙ্গাইল সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই চাল ১৯টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

স্থানীয় মিন্টু ঘোষ ও বিপ্লবসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, টাঙ্গাইলের অন্যান্য উপজেলাগুলোর তুলনায় মির্জাপুরে চালের দাম সবচাইতে কম দেয়া হয়েছে। সুবল পাল ও নেপাল শীল জানান, সরকার যে চাল দিয়েছে সে চাল অতিথি আপ্যায়নের উপযোগী না হলেও চালের দাম অত্যধিক কম বলায় তারা চাল বিক্রি করেননি।

উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রমথেস গোস্বামী শংকর জানান, মির্জাপুরে একটি সিন্ডিকেট পূজায় পাওয়া চাল নামমাত্র মূল্যে ক্রয় করছেন- যা অত্যন্ত দুঃখজনক। যদিও দাপ্তরিকভাবে এই চাল বিক্রি নয় ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই চাল অন্যান্য উপজেলায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হলেও আমাদের অভ্যন্তরীণ কিছু দুর্বলতার কারণে পূজারীদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে চাল ক্রয় করেছে সিন্ডিকেট।

জিআর চাল ক্রেতা ও মির্জাপুর সাধারণ খাদ্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ছিবার উদ্দিন বলেন, আমরা কারও কাছ থেকে জোর করে চাল কিনে নেইনি। চালের বাজার কম তাই সেভাবেই আমরা চাল কিনেছি। যারা আমাদের দামে চাল দেয়নি, তারা চাল নিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক জানান, সরকার পূজার চাল ব্যবহারের জন্য দিলেও পূজারীরা তা বিক্রি করছেন। তবে একটি সিন্ডিকেটের কারণে চালের দাম নিয়ে পূজারীদের অসন্তুষ্টির কথা লোকমুখে শুনলেও কেউ এ নিয়ে অভিযোগ করেননি। আগামি বছর থেকে পূজার চালের একটি ‘বিক্রয় মূল্য’ নির্ধারণ করে দেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno