প্রথম পাতা / জাতীয় /
আজ ঐতিহাসিক জাহাজ মারা দিবস
By দৃষ্টি টিভি on ১১ আগস্ট, ২০১৭ ৭:৩৩ পূর্বাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
আজ ১১ আগস্ট(শুক্রবার) ঐতিহাসিক জাহাজ মারা দিবস। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবোজ্জল ঘটনা। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী অত্যাধনিক মরণাস্ত্র, গোলাবারুদ, জ্বালানি ও রসদ বোঝাই সাতটি যুদ্ধ জাহাজ নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা সদরঘাট, ধলেরশ্বরী-যমুনা নদী দিয়ে সিরাজগঞ্জ হয়ে ফুলছড়ি ঘাটের মাধ্যমে বৃহত্তর উত্তরবঙ্গ রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুরসহ সীমান্তবর্তী পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীদের ঘাঁটি সমূহে পৌছানোর পরিকল্পনা ছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় টাঙ্গাইল-যমুনা নদী পথের মাটিকাটা নামকস্থানে নদীর পথের নজরদারীর দায়িত্বে ছিলেন কাদেরিয়া বাহিনীর দুর্ধর্ষ কমান্ডার মেজর হাবিবুর রহমান বীর বিক্রম।
তার দুরদর্শিতা ও সাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে জীবনবাজি রেখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের দুটি অস্ত্রবোঝাই জাহাজ এসটি রাজন ও ইউএস ইঞ্জিনিয়ার এলসি-৩ ধ্বংস করার মাধ্যমে হানাদারদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়া হয়।
জাহাজগুলো আক্রমণ ও ধ্বংস করে এক লাখ ২০ হাজার বাক্সে ২১ কোটি টাকা মূল্যের (তৎকালীন) অস্ত্রসস্ত্র ও গোলা-বারুদ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে আসে। বাংলাদেশ ইতিহাসে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীদের সামগ্রীভাবে অন্য কোথাও মুক্তিবাহিনীদের হাতে এতবড় ক্ষতি ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়নি।
পরবর্তীতে যুদ্ধ জাহাজ ও অস্ত্র-সস্ত্র উদ্ধার করার জন্য পাকিস্তানি কমান্ডের লে. জেনারেল আমীন আব্দুল্লা খান নিয়াজী ও বিগ্রেডিয়ার কাদের খানের নেতৃত্বে ৪৭ ব্রিগেড, ৫১ কমান্ডো ব্রিগেড ও হানাদার বিমান বাহিনী দুটি এফ-৮৬ স্যাবর জেট বিমান দ্বারা মুক্তিবাহিনীদের উপর চতুর্দিকে আক্রমণ করে। হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বের কাছে পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই যুদ্ধকে পট পরবর্তনকারী অধ্যায়ন হিসেবে গণ্য করা হয়। কমান্ডার হাবিবুর রহমানের অসীম বলিষ্ঠ সাহসীকতা ও নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম ও জাহাজ মারা হাবিব উপাধীতে ভূষিত করে।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মজিদ মিয়া বলেন, আমরা কয়েকজন কমান্ডার হাবিবের নেতৃত্বে জাহাজ দুটি আক্রমণ করি এবং আক্রমনে আমরা সফলভাবে জয়ী হই। এই জাহাজ দুটি ধ্বংস না করা হলে ৯ মাসেই স্বাধীনতা পেতাম না। মাটি কাটায় যুদ্ধে স্মৃতিস্তম্ভটি সংরক্ষণের এবং সরকারিভাবে এই দিবটি পালনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা গবেষক ও লেখক শফি তরফদার বলেন, কাদেরিয়া বাহিনী কোম্পানি কমান্ডার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১১ আগস্ট জাহাজ দুটি ধংস করে প্রায় ২১ কোটি টাকার অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার করে। যা মুক্তিযুদ্ধের একটি অবস্মরণীয় ঘটনা।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নয় :: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
-
টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ
-
যুদ্ধকে ‘না’ বলুন :: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
-
টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে ইস্তিকার নামাজ আদায়
-
টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপিত
-
টাঙ্গাইলে পঁচা মাংস বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা
-
বখাটেদের টাকা না দেওয়ায় প্রবাসীকে নিয়ে তুলকালাম!
-
শিক্ষাবিদ আব্দুল মোমেনের দাফন সম্পন্ন