প্রথম পাতা / অপরাধ /
আ’লীগ নেতা বাপ্পি হত্যা মামলা :: পৌর মেয়র মিরন ও আজাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
By দৃষ্টি টিভি on ৮ মে, ২০১৮ ৯:৩৭ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর রহমান খান বাপ্পি হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন ও কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের ছোট ভাই আজাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। জামিলুর রহমান মিরন ও আজাদ সিদ্দিকী পরপর বেশ কয়েক তারিখ আদালতে হাজির না থাকায় টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মঙ্গলবার(৮ মে) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম।
পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আজাদ সিদ্দিকী সরকারি সা’দত কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি)। তিনি তার ভাই কাদের সিদ্দিকী প্রতিষ্ঠিত কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
আদালত সূত্র জানায়, জামিলুর রহমান মিরন ও আজাদ সিদ্দিকী উভয়েই টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার বড় ভাই আমিনুর রহমান খান বাপ্পি হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। দু’জনেই এ মামলায় জামিনে আছেন। টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে গত সোমবার(৭ মে) এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহনের দিন ধার্য ছিল। ওই দিন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আটক এমপি রানাকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি তার সাক্ষ্য প্রদান করেন। কিন্তু জামিলুর রহমান মিরন ও আজাদ সিদ্দিকী পরপর বেশ কয়েক তারিখ আদালতে হাজির না থাকায় আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় কারান্তরীণ এমপি রানার বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর রহমান খান বাপ্পি সন্ত্রাসী হামলায় তাদের নিজ বাসার কাছে নিহত হন। এসময় বাপ্পির সঙ্গী আব্দুল মতিন নামক এক ব্যক্তিও সন্ত্রাসী হামলায় মারা যান। ঘটনার পর রানার বাবা আতাউর রহমান খান বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতা আবদুুল লতিফ সিদ্দিকীর দুই ভাই মুরাদ সিদ্দিকী ও আজাদ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, জেলা বিএনপি নেতা আলী ইমাম তপন, তৎকালীন পৌর কমিশনার রুমি চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা আব্দুর রৌফসহ ২০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তদন্ত শেষে সিআইডি’র সহকারি পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম ২০০৭ সালে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
এই মামলার আসামি রুমি চৌধুরী ও আব্দুর রৌফ ২০০৪ সালের অক্টোবরে সশস্ত্র হামলায় নিহত হন। এই দুজনের হত্যা মামলায় এমপি রানা ও তার ভাইদের আসামি করে মামলা করা হয়।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
টাঙ্গাইলে প্রচণ্ড দাবদাহে জনজীবন ওষ্ঠাগত ॥ হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বাড়ছে
-
পুলিশের বাগড়া দেওয়া অসম প্রেমিক দুই ছাত্রীর জামিন মঞ্জুর
-
আ’লীগ কার্যালয়ের তালা ভাঙার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল
-
বংশাই নদীতে ব্রিজের অভাবে ২৫ গ্রামবাসীর ঝুঁকিতে পারাপার
-
পানির গিজার থেকে জব্দকৃত ৪৯ কেজি গাঁজা সহ চার বিক্রেতা আটক
-
এমপি’র দুই ভাই ধনবাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী
-
সনদ বাণিজ্যের অভিযোগে স্ত্রী গ্রেপ্তার :: কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি
-
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া :: ভাড়ার ছাড় প্রত্যাহার