আজ- ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  রাত ৮:০৫

এমপি রানাকে দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন

 

দৃষ্টি নিউজ:

আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সাংসদ আমানুর রহমান খান রানাকে দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার(৩ মে) টাঙ্গাইল সদর ও ঘাটাইল আমলী আদালতে পুলিশ পৃথক দুটি আবেদন করে। জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি এমপি রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণের পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ(ওসি) যুবলীগ নেতা মো. শামীম ও মো. মামুন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অশোক কুমার সিংহ ওই মামলায় অভিযুক্ত এমপি রানাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালতে এই আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুম আবেদন গ্রহণ করে আগামি ৯ মে শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
অপরদিকে, ঘাটাইল জিবিজি কলেজের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি(ভিপি) ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ রুবেলকে হত্যাচেষ্টার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামছুল ইসলাম এমপি রানাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আরেকটি আবেদন করেন। ঘাটাইল আমলী আদালতে করা এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গোলাম কিবরিয়া আগামি ১০ মে আবেদনের শুনানির জন্য তারিখ ধার্য করেছেন।
দুই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনে বলেছেন, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে জেলহাজতে আটক আমানুর রহমান রানাকে গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন। প্রয়োজনে পরে রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আদালতে করা আবেদনে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ(ওসি) অশোক কুমার সিংহ জানান, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের নেতা ছিলেন শামীম ও মামুন। তারা ২০১২ সালের ১৬ জুলাই বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় গ্রেপ্তার খন্দকার জাহিদ গত বছর ১১ মার্চ, শাহাদত হোসেন ১৬ মার্চ এবং হিরন মিয়া ২৭ এপ্রিল, ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা বলেছেন, এমপি রানার দিক নির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করা হয় এবং তাদের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছিল।
ঘাটাইলের ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ রুবেলকে হত্যাচেষ্টার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শামছুল ইসলাম আবেদনে জানান, ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর রাতে একদল সন্ত্রাসী আবু সাঈদকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আব্দুল জব্বার বাবু ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে আব্দুল জব্বার বলেছেন, কারাগার থেকে সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার নির্দেশ অনুযায়ী সাঈদকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলায় সাংসদ আমানুর রহমান খান ও তাঁর ভাইদের জড়িত থাকার তথ্য বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। ফারুক হত্যা মামলায় এমপি রানার তিন ভাইসহ মোট ১৪ জন আসামি রয়েছে। টাঙ্গাইল প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno