আজ- ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বুধবার  রাত ৪:৩০

কলেজছাত্রী রূপাকে গণধর্ষন ও হত্যা মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু বুধবার ॥ আসামিদের নির্দোষ দাবি

 

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ‘ল’ কলেজের শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামিদের পরীক্ষা রোববার(২৮ জানুয়ারি) সম্পন্ন হয়েছে। আগামি বুধবার(৩১ জানুয়ারি) এ মামলার যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
টাঙ্গাইলের বিশেষ সরকারি কৌশুলী একেএম নাছিমুল আক্তার জানান, টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে রোববার পাঁচ আসামি হাবিবুর, সফর আলী, শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীরকে হাজির করা হয়। এসময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারা অনুযায়ী আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পাঠ করে শোনানো হয়। আদালত আসামিদের জিজ্ঞাসা করেন, তারা দোষী না নির্দোষ? প্রত্যেক আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। আসামিরা তাদের পক্ষে সাফাই সাক্ষী দেবেন কিনা এ প্রসঙ্গে প্রত্যেকেই দেবেন না বলে জানান। পরে আদালত আগামি বুধবার (৩১ জানুয়ারি) যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেন।
গত ৩ জানুয়ারি মামলার বাদি মধুপুরের অরণখোলা ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহনের মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহন শুরু হয়। গত মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাইয়ুম খান সিদ্দিকীর সাক্ষী ও জেরার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহন পর্ব শেষ হয়। এ মামলায় চিকিৎসক, বিচারিক হাকিমসহ ২৭জনের সাক্ষী নিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে জাকিয়া সুলতানা রূপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
রূপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রূপাকে সনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে(১৯) গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছে তারা রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারি শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছে। ৩১ আগস্ট রূপার লাশ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তাঁরাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno