আজ- ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  রাত ৯:০১

খুলেছে ২৩টি সেতু :: মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়লেও যানজট নেই

 

দৃষ্টি নিউজ:


বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখী মানুষ বহনকারি যানবাহনের চাপ বাড়লেও এ মহাসড়কে কোন যানজট দেখা যায়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় দ্বিগুন যানবাহন স্বাভাবিক ভাবেই চলাচল করেছে। চার লেন প্রকল্পের নতুন ২৩টি সেতু খুলে দেয়া হয়েছে এবং মহাসড়কে জননিরাপত্তায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৮০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতি বছরের ঈদ যাত্রার উল্টোচিত্র বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়কে। কোন বাধা ছাড়াই সাই সাই ছুটে চলেছে যাত্রীবাহী গাড়ি, ঘরমুখো মানুষ বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়ক দিয়ে নির্বিঘেœ বাড়ি ফিরছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত উত্তরের পথে মহাসড়কে গাড়ির বাড়তি চাপ থাকলেও যানজটের কোনো চিত্র দেখা যায়নি। বিগত দিনে ঈদ যাত্রায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকায় চরম ভোগান্তির অভিজ্ঞতাও রয়েছে এ সড়কে যাতায়াতকারী চালক ও যাত্রী সাারণের। কিন্তু এবার ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেও যানজটের কোনও চিত্র দেখা যায়নি।
পুলিশ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার(১২ জুন) রাত দুইটার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর একটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়লে পৌনে এক ঘণ্টা সেতু দিয়ে উত্তরবঙ্গমুখী যান চলাচল বন্ধ ছিল। তখন সেতুর পূর্বপ্রান্তে (টাঙ্গাইলের দিকে) প্রায় পাঁচ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি সরানোর পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।
বুধবার(১৩ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে টাঙ্গাইল শহর বাইপাসের কান্দিলা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস রাস্তায় উল্টে যায়। এতে সামান্য যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ১৫ মিনিটের মধ্যেই দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি মহাসড়ক থেকে অপসারণ করা হলে যানচলাচল আবার স্বাভাবিক হয়।
মঙ্গলবার মহাসড়কে নির্মাণাধীন চার লেন প্রকল্পের ২৩টি সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এ কারণে পরিবহনের চাপ থাকলেও যানজট হচ্ছে না।
বঙ্গবন্ধুসেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, দুর্ভোগ লাঘবে সরকারের চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ এখন অনেকটা দৃশ্যমান। গত ১২ জুন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে চার লেন ও মহাসড়কের ২৩টি ব্রিজ খুলে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ব্রিজগুলোর গতিরোধকও অপসারণ করা হয়েছে। চার লেন ব্যবহার করায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, আগে এ মহাসড়কে যানজট লেগেই থাকতো। কিন্তু এবার ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছেন। উত্তরের পথে গাড়ির বাড়তি চাপ রয়েছে বলেও তিনি জানান।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফুল হক জানান, মঙ্গলবার থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অনেক বেড়ে গেছে। স্বাভাবিক অবস্থায় বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ১২-১৩হাজার যানবাহন পারাপার হয়। মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে বুধবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২২ হাজার ৬০টি যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হয়েছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে জেলা পুলিশের তরফে ৮০০ পুলিশ কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে মির্জাপুরের ধেরুয়া পর্যন্ত মহাসড়ক চারটি সেক্টরে ভাগ করে যানজটমুক্ত রাখার কাজ চলছে। প্রতি দুই কিলোমিটারে পুলিশের একটি মোবাইল টিম রয়েছে। এছাড়া ধেরুয়া রেলক্রসিং, টাঙ্গাইল শহর বাইপাসের ঘারিন্দা মোড়, কালিহাতীর এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডসহ যেসব এলাকায় যানজটের আশঙ্কা রয়েছে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জানান, বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে অবৈধ ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও বাসের ছাদে যাত্রীবহনকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে মহাসড়কের চারটি পয়েণ্টে ভ্রাম্যমান আদালত দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে তিনটি ভিজিলেনস টিমও কাজ করে যাচ্ছে।

 

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno