আজ- ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শনিবার  রাত ৩:৩৭

ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর আজ

 

দৃষ্টি নিউজ:

আজ ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর। ১৯৭৫ সালের শেষদিকে দ্রুত রাজনৈতিক রক্তাক্ত উত্থান-পতনের ঘটনাবলির মধ্যে এই দিনে তৎকালীন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতা সংহত করে অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীলতার সূচনা করেন। সিপাহি-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে আনেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে। বিএনপি দিনটিকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’, আওয়ামী লীগ ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ এবং জাসদ ‘সিপাহী জনতার অভু্ত্থান দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। বিএনপি তাদের ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে দলটি ১০ দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
অন্যদিকে জাসদসহ সমমনা দলগুলোর ব্যাখ্যা হচ্ছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর থেকে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে ক্ষমতালিপ্সু অফিসারদের ক্ষমতা দখল-পুনর্দখলের জন্য পরস্পরবিরোধী অবস্থানের প্রেক্ষাপটে ইতিহাসের এই দিনে ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান’ ঘটেছিল। জাসদ ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবেই দিনটি পালন করে। এ ছাড়া দিনটিকে কয়েকটি সংগঠন ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ মনে করে।
১৫ আগস্টের কালরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যার মাত্র ৭৯ দিন পর অশুভ শক্তি ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ৪ জাতীয় নেতা হত্যা করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৩ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর মধ্যে একাধিকবার অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটে। এক পর্যায়ে জিয়াউর রহমান গৃহবন্দি হন। এসব ঘটনায় অনেক মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ৬ ও ৭ নভেম্বর সংঘটিত অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল তাহের। বন্দিদশা থেকে জিয়াকে মুক্ত করেছিলেন তিনি। এর পর অতিদ্রুত নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে নিজ পদে আসীন হন জিয়াউর রহমান। রাজনৈতিক নেতৃত্বের চরম ব্যর্থতার কারণে তখন দেশ চলে যায় সামরিক শাসনের অধীনে। জিয়াউর রহমান প্রথমে উপপ্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের পদে বসেন। এক পর্যায়ে বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে সরিয়ে রাষ্ট্রপতি হন তিনি। অন্যদিকে বন্দিদশা থেকে জিয়াকে মুক্ত করেও বাঁচতে পারেননি কর্নেল তাহের। কোর্ট মার্শালের বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয় তাকে।
গত ৩৬ বছরে অধিকাংশ সময় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস সরকারিভাবে পালিত হয়েছে। ১৯৭৬ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত দিনটি সরকারি ছুটি ছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তা বাতিল করা হয়। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে ছুটি পুনর্বহাল করে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে ছুটি আবার বাতিল করে। আওয়ামী লীগ সরকার সে সিদ্ধান্ত বহাল রাখে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno