টাঙ্গাইলের চাঞ্চল্যকর রূপা হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন দ্বিতীয়বার পেছাল

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ‘ল কলেজের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ দ্বিতীয় দফায় পেছাল। বুধবার(২২ নভেম্বর) এ মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ ধার্য থাকলেও আসামি পক্ষের আইনজীবীর করা সময়ের আবেদনে আগামি ২৯ নভেম্বর আগামি তারিখ ধার্য করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১২টায় ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান এ নয়া তারিখ ধার্য করেন।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি একেএম মো. নাছিমুল আক্তার জানান, মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে বিচারিক আদালত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত মধুপুর অঞ্চল থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলী করেন। মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মো. আব্দুল মান্নান।
বুধবার(২২ নভেম্বর) চাঞ্চল্যকর রূপা হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ ধার্য থাকলেও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের সময় আবেদনের পরিপ্র্রেক্ষিতে আগামি ২৯ নভেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মো. আব্দুল মান্নান। এ মামলায় রাষ্ট্র পক্ষে সহায়তায় ছিলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, অ্যাডভোকেট শামীম চৌধুরী দয়াল ও ঢাকা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন।   
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে এবং বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে তার মৃতদেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন। ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা প্রত্যেকেই আদালতে হাজির হয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার আসামিরা প্রত্যেকেই টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছে। ৩১ আগস্ট রূপার মরদেহ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তাঁরাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর নিহত রূপার দাঁত ও পরিধেয় বস্ত্র ঢাকায় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ১৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলার চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ। গত ১৩ নভেম্বর এ মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য ছিল। চাঞ্চল্যকর রূপা হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য থাকলে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান ছুটিতে থাকায় ২২ নভেম্বর এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের তারিখ ধার্য করেন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে