আজ- ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বুধবার  রাত ৮:৫৭

টাঙ্গাইলের পৌর মেয়র মিরণ ইতালীর নাগরিক :: মুরাদ সিদ্দিকী

 

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইলের তরুণ নেতৃত্ব আলহাজ মুরাদ সিদ্দিকী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হলেও টাঙ্গাইল পৌরসভা ব্যতিক্রম। পৌরসভার রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, যানজট ইত্যাদির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। ট্রেড লাইসেন্স, অটোরিকশা, রিকশা ইত্যাদির লাইসেন্স ফি ৪-৫ গুন বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরণ ইতালীর নাগরিক হয়ে ইতালীস্থ টাঙ্গাইল সমিতির আহ্বায়ক হয়েছেন। দ্বৈত নাগরিক থাকার কারণে টাঙ্গাইল পৌরবাসীর প্রতি মেয়র মিরণের কোন মমত্ব নাই, দায় নাই- তিনি ইতালী প্রবাসী।
আগামি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী বলেন, বিশ্বাসঘাতকরা মহান আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ঘৃণার ব্যক্তি। তারা দিনে দিনে অসুখে-বিসুখে ভোগে নিদারুন কষ্টে মৃত্যুবরণ করে। তাদের মৃত্যুতে মানুষ উল্লসিত হয় খুশি হয়। বাঙালি জাতির কাছে দ্বিতীয় বিশ্বাসঘাতক হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী খন্দকার মোস্তাক আর টাঙ্গাইলে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে মানুষ মেয়র জামিলুর রহমান মিরণকে চিনে।
মুরাদ সিদ্দিকী বলেন, মরণ নেশা ইয়াবা’য় টাঙ্গাইল ছেয়ে গেছে, যারা মাদকসেবী তাদেরকে আমি দোষ দেইনা। পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরণকে ইঙ্গিত করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, যারা তাদেরকে মাদকসেবী তৈরি করেছে, মাদক ধরিয়ে দিয়ে কোমরে পিস্তল গুঁজে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি আর জমি দখলে ব্যবহার করছে সেইসব গডফাদাররা কারা? রাতের আঁধারে কাদের পকেটে ইয়াবা বিক্রির টাকার ভাগ যায়? জমি দখলের হিস্যা পৌঁছায় তা শহরবাসী জানলেও মুখ খোলেনা, কিন্তু মুরাদ সিদ্দিকী এসব দেখে চুপ থাকতে পারেনা- তাই প্রতিবাদ করছি। আগামি নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হতে পারলে টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনের প্রতিটি এলাকা থেকে মাদক নির্মূল করা সহ সারা দেশে মাদক নির্মূলে ঐতিহাসিক ভূমিকা নেয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, টাঙ্গাইল শহরকে পূর্বে ঘারিন্দা, উত্তরে গালা, পশ্চিমে চৌবাড়িয়া-বাঘিল পর্যন্ত ছড়িয়ে দেয়া হবে। মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধুসেতু এলাকা পর্যন্ত এলাকায় শিল্প কারখানা স্থাপনের মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইলে ইপিজেড গঠন করে বেকারত্ব দূর করা হবে।
সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি আরো বলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ রানা-মুক্তি-কাকন-বাপ্পাকে নেতা বানিয়েছিলেন। কিন্তু তারাই ক্ষমতার লোভে বীরমুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে হত্যা করে চরম বিশ্বাসঘাতকতার পরিচয় দেয় এবং ঘটনাটির বিচার যাতে না হয় সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করে। সেদিন আমি চুপ থাকতে পারিনি- ফারুক আহমদ হত্যা মামলার সঠিক তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলি। সেই আন্দোলনের চোরাগলি দিয়ে অনেকেই আওয়ামীলীগার হয়েছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাকে আওয়ামীলীগার হতে হয়না- আমি পারিবারিকভাবেই আওয়ামীলীগার। স্বাধীনতার আগ থেকেই আমি আওয়ামীলীগার। আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ড. আব্দুর রাজ্জাক, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, যুগ্ম-সম্পাদক খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি যখন আমাকে আওয়ামীলীগার হিসেবে স্বীকার করেন তখন পুঁচকে হাইব্রিডদের কথায় কি আসে যায়! তিনি সোমবার(৫ মার্চ) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নাগরিক কমিটি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন।
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সবুর খান বীরবিক্রমের সভাপতিত্বে জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. ফজলুল হক বীর প্রতীক, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান সবুর, মুরাদ সিদ্দিকীর সহধর্মিনী নিহার সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ প্রমুখ।

 

 

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno