আজ- ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  রাত ২:৩১

টাঙ্গাইলে দুটি ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

 

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইলের বাসাইলের প্রবাসীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও মধুপুরের মো. আব্দুল কাদের হত্যা মালমার রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা পুলিশ। বুধবার(৩০ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, গত ১ জানুয়ারি বাসাইলের নথখোলা গ্রামের প্রবাসী ধলা মিয়ার স্ত্রীকে নিজ ঘরে হাত পা বেধে পায়ের রগ ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে নিহত মনোয়ারা বেগমের সহোদর ভাই মো. আব্দুল কাদেরের স্ত্রী তাছলিমা খাতুন খুকি বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে ১ জানুয়ারি বাসাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ২২ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দক্ষিণের অফিসার ইনচার্জ শ্যামল কুমার দত্তকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে হত্যা মামলাটি ডিবি দক্ষিণের এসআই জাহাঙ্গীর আলম, এসআই ওবাইদুর রহমান ও এসআই আলমগীর কবির তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাসাইলের কাশিল পশ্চিম পাড়া গ্রামের মো. সোলায়মানের ছেলে মো. রহিম মিয়া(২৬), মামলার বাদি তাছলিমা খাতুন খুকি(২৮), বাদির সহোদর ভাই টাঙ্গাইল শহরের আকুর টাকুর পাড়ার মো. আল আমিনকে(১৯) আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনজনই হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। উল্লেখিত আসামিরা ২৯ জানুয়ারি(মঙ্গলবার) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি লিপিবদ্ধ করেন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামসুল আলম, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মো. আমিনুল ইসলাম।
স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর রাতে কোমল পানীয় ফিজআপের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মনোয়ারা বেগমকে দুর্বল করে তার নিজ ঘরেই হাত-পা বেধে ধারালো ছুরি দিয়ে তার পা ও হাতের রগ কেটে এবং জবাই করে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মো. রহিম মিয়ার একটি রক্তমাখা প্যান্ট, এক জোড়া জুতা ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। মাদক সেবন, পরকীয়া ও টাকা আত্মসাতের জন্যই এই হত্যাকান্ডটি ঘটানো হয়েছে বলে মনে করেন পুলিশ সুপার।
অপরদিকে, গত ১০ জানুয়ারি মধুপুর বন থেকে মো. আব্দুল কাদের মিয়ার পুরানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের ভাই মো. মোবারক হোসেন বাদি হয়ে ১৩ জানুয়ারি মধুপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন ক্লু খুজে পাচ্ছিল না। ২৩ জানুয়ারি ওসামন গণি নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে মধুপুর থানা পুলিশ। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী আবু তালেব ও সাইদ রহমানে গ্রেপ্তার করলে তিনজনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno