প্রথম পাতা / অপরাধ /
টাঙ্গাইলে শিশু জুয়েল হত্যা মামলা এক জনের মৃত্যুদণ্ড
By দৃষ্টি টিভি on ২৭ নভেম্বর, ২০১৮ ৭:৩৯ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের চাঞ্চল্যকর শিশু জুয়েল হাসান(৬) হত্যা মামলার একমাত্র আসামি আব্দুর রহিমকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ১০হাজার টাকা জরিমানা ধার্য এবং এ রায়ের বিরুদ্ধে আগামি ৭দিনের মধ্যে সংক্ষুব্ধরা আপিল করতে পারবেন বলে ঘোষণা দেয়া হয়। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শওকত আলী চৌধুরী মঙ্গলবার(২৭ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত আব্দুর রহিম(৩৭) টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিল মাগুরাটা গ্রামের মো. হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিল মাগুরাটা গ্রামে ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর রাতে ধর্মসভাস্থলের পাশে শিশু জুয়েল হাসানের বাবা শহিদুর রহমান ও মাতা রোজিনা বেগম চায়ের দোকান দেয়। চায়ের দোকানে শিশু জুয়েল অবস্থান করে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে জুয়েল দোকান থেকে চলে যায়। পরে রাত ১টার দিকে ধর্মসভা শেষ হলেও জুয়েল ফিরে না আসায় তার বাবা-মা ও এলাকাবাসী বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুজি করেও তাকে পায়নি। পরদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পিঁচুরিয়া গ্রাম্য গোরস্থানের দক্ষিণ পাশে জনৈক আব্দুল মাসুদের ধান ক্ষেত থেকে জুয়েলের চোখ উপড়ে ফেলানো এবং রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ২০ নভেম্বর জুয়েলের মা রোজিনা বেগম অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি) এসআই মো. ওবাইদুর রহমান ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেন। ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আব্দুর রহিমকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুর রহিম প্রাথমিকভাবে জুয়েল হাসানকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরদিন ৫ জানুয়ারি অভিযুক্ত আব্দুর রহিম স্বেচ্ছায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ হামিদুল ইসলামের কাছে শিশু জুয়েল হাসান হত্যাকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। স্বীকারোক্তিতে আসামি আব্দুর রহিম বলেন, জুয়েল হাসানের মায়ের সাথে তার পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। জুয়েল হাসান সব সময় মায়ের কাছাকাছি থাকতো। ফলে পরকীয়া সম্পর্কে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় জুয়েল হাসানের মা রোজিনা বেগমের অজান্তেই শিশু জুয়েলকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তিনি।
মামলার বাদি, চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেট, তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ১০জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, টাঙ্গাইলের পিপি এস আকবর খান। তাকে সহায়তা করেন, মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নিজেরা করি এই মামলা দায়ের করার পর থেকে বাদিকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করে।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, অ্যাডভোকেট আরফান আলী মোল্লা ও অ্যাডভোকেট শামস্ উদ্দিন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
টাঙ্গাইল শহরে থমথমে অবস্থা ॥ ককটেল বিস্ফোরণ
-
গানের পাখি বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমার দে আর নেই
-
টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালিত
-
টাঙ্গাইলে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
-
কালিহাতীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা
-
যমুনায় অষ্টমীস্নানে পুণ্যার্থীদের ঢল
-
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে দ্বৈত সঙ্গীতানুষ্ঠান