প্রথম পাতা / ছবি /
টাঙ্গাইলে সরকারি কর্মচারীদের কর্মবিরতি ॥ ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
By দৃষ্টি টিভি on ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ৭:৪২ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
সারাদেশে সরকারি তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যায় টাঙ্গাইলেও পদবী পরিবর্তনের দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করা হয়েছে। এ আন্দোলন আগামি ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
গত মঙ্গলবার(২৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির (বাকাসস) ডাকে টাঙ্গাইল জেলার সরকারি কর্মচারীরা এ কর্মবিরতিতে অংশ নেন। এতে দূর-দূরান্ত থেকে সেবা নিতে আসা সেবা গ্রহীতারা চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। কর্মবিরতির কারণে তারা কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না।
আন্দোলনকারীরা জানান, তারা ২০০১ সাল থেকে কালেক্টরেটে কর্মরত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের পদবী পরিবর্তন এবং বেতন গ্রেড উন্নীতকরণের দাবি জানিয়ে আসছেন। ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী এ পদবী পরিবর্তন সংক্রান্ত সার সংক্ষেপ অনুমোদন দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এর পরিপ্র্রেক্ষিতে সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলেও ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলনের এ কর্মসূচি তারা দিয়েছেন।
শহরের আকুর টাকুর পাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শহরের লৌহজং নদী উদ্ধারের কাজ চলছে। আমিও নদীর পাড়ের মানুষ। যে জায়গায় ভাংচুর করা হচ্ছে সেই জায়গায় আমার জমিও পড়েছে। সেই বিষয়ে নিয়ে জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে কথা বলতে এসেছিলাম। কিন্তু কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে কথা বলতে পারছি না। আমার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
হালিমা বেগম বলেন, আমি খুব গরীব মানুষ। ডিসি স্যারের কাছে এসেছিলাম কথা বলতে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও তার সাথে কোন কথা বলতে পারলাম না।
ঢাকা থেকে আসা এক সেবা গ্রহীতা রুমা আক্তার বলেন, জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে কথা বলা আমার খুব প্রয়োজন। কিন্তু এখানে এসে দেখি আন্দোলন চলমান। আমি কি চলে যাবো না কি করবো আমি সঠিক বুঝতে পারছি না। তাদের আন্দোলনের কারণে আমাদের কেন ভোগান্তি পোহাতে হবে।
আন্দোলনকারী বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির (বাকাসস) টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদদক মোতালেব সিদ্দিকী ও সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন বলেন, গত দেড় যুগে একাধিকবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব কমিটির মাধ্যমে একাধিকবার আশ্বাস দিলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। সারা বাংলাদেশে ৫০টি ডিপার্টমেন্টের পদ-পদবী পরিবর্তন করা হয়েছে। সেখানে কোন প্রকার কমিটি লাগেনি। আমাদের ক্ষেত্রে কেন এতো তালবাহানা? আমাদের আন্দোলনের জন্য সাধারণ জনগনের ভোগান্তি হচ্ছে। আমরা মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলার জন্য আসিনি। আমরা মানুষকে সেবা দিতে এসেছি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনের কারণে আমরা অস্বস্তিকর অবস্থায় রয়েছি। অনেক দূর থেকে অনেক সেবা প্রার্থীরা এখানে এসে ফেরত যাচ্ছেন। কারণ, আমাদের কার্যালয়ের যারা ফাইল ওয়ার্ক করেন তারা স্ট্রাইক করেছেন। এটা তাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন। এ দাবিটি তাদের যৌক্তিক দাবি বলে আমি মনে করি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
এমপিরা কোনো প্রার্থীর প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না :: ইসি আলমগীর
-
টাঙ্গাইলে দুর্ঘটনায় রেললাইনের উপর বাস ॥ অল্পের জন্য যাত্রীদের প্রাণরক্ষা
-
ভারতের কোলকাতায় সবুজ পৃথিবীর কমিটি গঠন
-
ঘাটাইলে গরুসহ গাড়ি ফেলে পালিয়েছে চোরচক্র
-
টাঙ্গাইলে প্রচণ্ড দাবদাহে জনজীবন ওষ্ঠাগত ॥ হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বাড়ছে
-
পুলিশের বাগড়া দেওয়া অসম প্রেমিক দুই ছাত্রীর জামিন মঞ্জুর
-
আ’লীগ কার্যালয়ের তালা ভাঙার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল
-
বংশাই নদীতে ব্রিজের অভাবে ২৫ গ্রামবাসীর ঝুঁকিতে পারাপার