আজ- ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার  রাত ৯:৪৩

দেলদুয়ার লৌহজং নদীতে বাংলা ড্রেজারের দাপট চরমে!

 

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত লৌহজং নদীর ডুবাইল ইউনিয়নের মৈষ্ঠা, আরমৈষ্ঠা, মাঝালিয়া ও ধানকি গ্রামের অংশে অবৈধ বাংলা ড্রেজারের দাপটে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে।
জানাগেছে, লৌহজং নদীর দেলদুয়ার উপজেলার মৈষ্ঠা, আরমৈষ্ঠা, মাঝালিয়া ও ধানকি গ্রামের অংশে এক শ্রেণির বালুখেকো চারটি বাংলা ড্রেজার বসিয়ে এবং দুইটি বেকু দিয়ে দিনরাত বালু উত্তোলন ও সরবরাহ করছে। অপরিকল্পিতভাবে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর দু’তীর ধসে পড়ছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে নদীতীর ভেঙ্গে ফসলি জমি, বাড়িঘর নদীর পানিতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, দীর্ঘ এক বছর যাবত লৌহজং নদীর ওই অংশে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক এহসানুল হক সুমনের নেতৃত্বে গুনটিয়া গ্রামের মুসলেম উদ্দিন, বিপুল, মাঝালিয়া গ্রামের উজ্জল ও রাসেল বাংলা ড্রেজার বসিয়ে দিনরাত বালু উত্তোলন করছেন। এছাড়া বড়মৈষ্ঠা গ্রামের মিজান ও মুনজিল দুইটি বেকু দিয়ে নদীতীরের মাটি কেটে অবাধে বিক্রি করছেন। তারা স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক প্রভাবশালী ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী লোক বলে কেউ প্রতিবাদ করারও সাহস পায়না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করে জেল-হাজত খাটায়। এরআগে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পায়নি। পরে অভিযোগকারীরা কোন না কোন মামলায় জড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় শতাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদীতীর ভেঙ্গে পড়ছে। বর্ষা মৌসুমে বাড়িঘর সহ ফসলি জমি ও মাঝালিয়া বাজারটি নিশ্চিত নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তারা চোখের সামনে এসব দেখেও প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা। তারা আরো জানায়, মাঝে মাঝে থানা পুলিশের লোকজন এসে ড্রেজার মলিকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায়। এ সময় তারা পরিচয় প্রকাশ না করার জন্য অনুনয় করে।
বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকারী গুনটিয়া গ্রামের মুসলেম উদ্দিন, বিপুল, মাঝালিয়া গ্রামের উজ্জল জানান, তারা স্থানীয় প্রশাসনের নানা দপ্তরে বিশেষ করে ইউএনও এবং থানা পুলিশকে মাসিক ভিত্তিতে নগদ টাকা দিয়েই ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন।
দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়টি সম্পর্কে তারা কিছু জানেন না। টাকা নেয়ার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিনা ইয়াসমিন জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। টাকার বিনিময়ে ড্রেজার চলতে দেয়ার প্রশ্নই ওঠেনো। তিনি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno