প্রথম পাতা / অর্থনীতি /
ধনবাড়ীতে সবজি চাষে স্বাবলম্বী সাহেরা বেগম
By দৃষ্টি টিভি on ২১ এপ্রিল, ২০১৮ ৭:৩৯ পূর্বাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টা এবং পরিবারের সব সদস্যের সহযোগিতায় দু-বেলা স্বামী-সন্তান-নাতী নিয়ে পেট পুরে খেতে পারছেন কিষাণী সাহেরা বেগম। এখন আর অন্যের কাছে ধারকর্জ করতে হয় না। সুদূর প্রসারী চিন্তাশক্তি তার জীবনধারা পাল্টে দিয়েছে। তাই অভাব-অনটন, দুঃখ-কষ্ট তার জীবনে বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। সবজি চাষ করে কয়েক বছরে বদলে দিয়েছেন পরিবারের চিত্র। তিনি এখন স্বাবলম্বী।
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী সাহেরা বেগম (৫০)। বিয়ে হয়েছে প্রায় ৩০ বছর আগে। নিজের জায়গা-জমি বলতে স্বামীর ৭ শতাংশ ভিটি। ধারকর্জ করে সংসার চালাতে হতো। সংসারের ঘানি টানতে আব্দুল খালেক ধারকর্জ করে ঋণগ্রস্ত হয়ে দিশেহারা। এরই মধ্যে তাদের ৩টি সন্তানের জন্ম হয়। এ সমস্যা থেকে উত্তরনের কোন কূলকিনারা দেখছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে স্ত্রী সাহেরা বেগমের পরামর্শে বাড়ির পাশের ১৫ শতাংশ জমি বর্গা নেন। স্ত্রী সাহেরা বেগমের উৎসাহে ওই বর্গা জমিতে করলা চাষ শুরু করেন তারা। করলা বিক্রির টাকায়ই ফিরে আসে পরিবারের সচ্ছলতা। এখন আর তাদের পিছনে ফিরে তাকাতে হয় না। এখন তারা প্রায় ৯০ শতাংশ জমির মালিক। পুরো জমিতেই করলা চাষ হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে ৮-১০ মণ করলা বিক্রি করেন। প্রতিমণ করলা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। সবজি চাষে সাহেরা বেগমকে সহযোগিতা করে স্বামী আব্দুল খালেক ও সন্তান-নাতি। তার জমিতে করলার পাশাপশি পটল ও বরবটির চাষ হচ্ছে। সাহেরা বেগমের সবজি চাষ দেখে এলাকার অনেকেই এখন সবজি চাষে উৎসাহিত হয়েছে।
সাহেরা বেগম জানান, সবজি চাষ তার পরিবারের দুঃখ-কষ্ট দূর করে এনে দিয়েছে সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য। এখন আর ধারকর্জ করতে হয় না। সবজির আয় থেকে একটি চৌ-চালা টিনসেড বিল্ডিং নির্মাণ করেছেন। গরু কিনেছেন তিনটি। নাতিকে লেখাপড়াও শিখাচ্ছেন। বড় ছেলে শাহ্ আলম(৩৩) বাবা-মার সাথেই থাকেন। মেয়ে শাহানা বেগম (৩০) ও কল্পনা বেগমকে(২৫) বিয়ে দিয়েছেন। নাতি রাফিউল ইসলাম পাইস্কা উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। রাফিউলও পড়াশুনার ফাঁকে সবজি চাষে সাহায্য করে।
সাহেরা বেগমের বড় ছেলে শাহ্ আলম জানান, তার জন্মের পর থেকে বুদ্ধি হওয়া পর্যন্ত বাবা-মাকে দেখি সবজি চাষ করতে। তাই আমিও সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে পড়ি।
এ ব্যপারে ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, এ উপজেলায় সাহেরা বেগমকে অনুকরণ করে অনেকেই সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। মুশুদ্দি ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি সবজি চাষ হয়। এখানকার সবজির গুনগত মান অনেক ভালো। এ জন্য তারা এলাকার বিভিন্ন স্থানে ও বাড়ি-বাড়ি ওঠান বৈঠকের মাধ্যমে সবজি চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করছেন। তাদেরকে নানা ধরনের কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপায়ে পোকা দমন করতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নয় :: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
-
টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ
-
যুদ্ধকে ‘না’ বলুন :: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
-
টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে ইস্তিকার নামাজ আদায়
-
টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপিত
-
টাঙ্গাইলে পঁচা মাংস বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা
-
বখাটেদের টাকা না দেওয়ায় প্রবাসীকে নিয়ে তুলকালাম!
-
শিক্ষাবিদ আব্দুল মোমেনের দাফন সম্পন্ন