প্রথম পাতা / অপরাধ /
ধর্ষণের অভিযোগে আদালতের পেশকার রবিউলের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
ওই মামলা প্রত্যাহার ও শারমিনকে বিয়ে করবে এমন শর্তে বিষয়টি মিমাংসার লক্ষে সালিশের আয়োজন করে পাকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ। সালিশে রবিউল ইসলাম টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করার কথা স্বীকার করে শারমিনকে বিয়ে করতে রাজি হন। ফলে সালিশের বিচারকরা শারমিনকে রবিউলদের বাড়িতে রেখে আসেন। তবে সালিশের শর্ত উপেক্ষা করে গত ৭ মার্চ রবিউলের মা বাদি হয়ে শারমিনের বিরুদ্ধে নাগরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ শারমিনকে গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে পাঠায়। আদালত থেকে জামিন পেয়ে শারমিন গত ১৩ মার্চ টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে চলমান রয়েছে।
এ নিয়ে অপহরণ ও ধর্ষণে অভিযুক্ত রবিউল ইসলামের ব্যবহৃত মুঠোফোন ০১৭১৫-৭৫৪১৭৫ নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে নারী অপহরণ ও ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করে অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য ও রবিউল ইসলামের বাবা ইমতিয়াজ আলী জানান, প্রতিবেশি দুই সন্তানের জননী শারমিন বিয়ের দাবিতে তাদের বাড়িতে ওঠেন। তার ছেলে রবিউল ইসলাম অবিবাহিত ও বান্দরবন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার হিসেবে কর্মরত। তিনি প্রশ্ন রাখেন, একজন অবিবাহিত ছেলেকে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীর সাথে কেন বিয়ে দেব? বিষয়টি সম্ভব নয় বলেই শারমিনকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে সালিশের বিচারক ও ১১নং পাকুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান জানান, রবিউল ও শারমিনের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ কারণে বিয়ে না করে প্রায়ই শারমিন তার প্রেমিক রবিউলদের বাড়িতে অবস্থান করত। রবিউল বিয়ে ছাড়া কেন শারমিনকে বাসায় রাখেন বিষয়টি স্পষ্ট করতে ওই সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিশি বৈঠকে সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করায় শারমিনকে বিয়ে করার শর্ত দিয়ে রবিউলদের বাড়িতে রাখার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। তবে পরবর্তীতে রবিউলের পরিবার ওই শর্ত অমান্য করে শারমিনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠান বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিণ্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।