প্রথম পাতা / টাঙ্গাইল / কালিহাতী /
পদ্মবিলে দর্শনার্থীদের ভীর
By দৃষ্টি টিভি on ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ৭:১৪ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি বিনোদন:
‘পদ্মপাতা দেখেছো কখনো তুমি!/ পদ্মপাতার ভালোবাসা পেয়েছো কী?/ ঋতুর মতোই বদলায় পদ্মপাতা।/ কখনো বর্ষার শীতল কদম ফুল,/ কখনো শরতের সাদা কাশফুল,/ কখনো হেমন্তের হলুদ সরষে,/ কখনো শীতের হিমেল হাওয়া,/ কখনো বা বসন্তের লাল কৃষ্ণচুড়া।/ তুমি কী জানো,/ রাতের অন্ধকারে পদ্মপাতার প্রশস্থতা বেড়ে যায়?’- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও লেখক সালমা আহমেদের এই পদ্ম শত-সহস্র ফুটে আছে বিলে, পদ্মবিলে। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নে অবস্থিত পোষনা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী জলই বিলটি এখন পদ্মবিল নামে বেশি পরিচিত। দিন দিন দর্শনার্থীদের কাছে বিলটি আকর্শনীয় হয়ে ওঠছে। দর্শনার্থীদের কাছে এর কদর বাড়ছে, বাড়ছে ভীরও।
জানাগেছে, পদ্মফুল পবিত্র সৌন্দর্যের প্রতীক। শালুক(waterlily) দেখতে পদ্মফুলের মত হলেও এরা শালুক-পরিবারের(Nympheaceae) সঙ্গে পদ্ম পরিবারের (Nelumbonaceae) খুব একটা নিকটত্ব নেই। এদের পাতা দেখলে সহজেই পৃথক করা যায়। এক সময় অনেকে ভারতের জাতীয় ফুল বলে মনে করতেন, সাংবিধানিক ভাবে তা নয়। পদ্মফুলের বৈজ্ঞানিক নাম: Nelumbo nucifera.
স্থান-কাল ভেদে এর নানা নাম বিদ্যমান। যেমন- পদ্ম, কমল, শতদল, সহস্রদল, উৎপল, মৃণাল, পঙ্কজ, অব্জ, অম্বুজ, নীরজ, সরোজ, সরসিজ, সররুহ, নলিনী, অরবিন্দ, রাজীব, ইন্দিরা, কুমুদ, তামরস, পুণ্ডরীক বা শ্বেতপদ্ম, কোকোনদ বা লাল পদ্ম, ইন্দিবর বা নীল পদ্ম ইত্যাদি। এর পাতা, ফুল, ফল, কাণ্ড ও শিকর ওষুধি।
স্থানীয়রা জানায়, কালিহাতীর এ পদ্মবিলে সারা বছর পানি থাকে। প্রাকৃতিক সৌন্ধর্যে ঘেরা বিলটি বর্ষা মৌসুমে যেন তার যৌবন ফিরে পায়। সাদা শাপলা ফুলের সাথে ফোটে লাল-সাদা পদ্ম। তবে আশ্বিন-ভাদ্র মাসটি বিলটি পদ্মফুলের রাজধানীতে পরিণত হয়। সারা বিল জুড়ে শত-সহস্র পদ্ম ফোটে পরিবেশকে এক মহামায়ায় ভরিয়ে তুলে। মাঝে মাঝে সবুজ কলমি লতা বিলটিকে করে তুলে আরো অপরূপ। পড়ন্ত বিকাল এবং গোঁধুলী সন্ধ্যায় যা দর্শনার্থীদের নিয়ে যেতে পারে ভিন্ন এক জগতে। বিলটির চারদিকে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা। দূর থেকে দেখলে সবুজ বনও মনে হতে পারে। শীত মৌসুমে অতিথি পাখির কিচির-মিচির বাড়িয়ে দেয় সৌন্দর্যের ষোলআনা। অতিথি পাখি শিক্ষারীদের আনাগোনাও বাড়ে সমানতালে। বিলে যাওয়ার জন্য রয়েছে ভাড়ায় চালিত ‘কোশা নৌকা’।
টাঙ্গাইলের উপ-শহর এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে বল্লা রোডে বালিআটা মোড়ের আগেই রয়েছে সেকান্দরের মোড়, ওখান থেকে চারান রোড়ে দুই কিলোমিটার গেলেই মিলবে বিলের দেখা। এছাড়া বালিয়াটা মোড় পাড় হয়ে সামনে এগুলে বিলের দেখা পাওয়া যাবে। এলেঙ্গা থেকে দূরত্ব মাত্র ৭ কি.মি.; আর টাঙ্গাইল শহর থেকে ১০কি.মি.। ইঞ্জিন চালিত রিকশা, ভ্যান, অটো রিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা বা মোটরসাইকেলে খুব সহজেই ভ্রমণ করা যায় এই পদ্মবিল। স্থানীয় লোকদের আন্তরিকতা মুগ্ধ করে যেকোন দর্শনার্থীকে। চা, কফি, বাদাম, চিপস্, ফুচকাসহ হালকা খাবারও সংগ্রহ করা যায় হকারদের কাছ থেকে।
কোকডহরা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, পদ্ম বিলের প্রাকৃতিক দৃশ্য মনোমুগ্ধকর। বিলে নৌকায় বেড়ানোর ব্যবস্থাও আছে। তবে প্রচারের অভাবে এখনো ততটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি পর্যটন সম্ভবনার এ বিলটি। তিনি মনে করেন, সঠিক নজর এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হলে এ পদ্মবিল হতে পারে টাঙ্গাইলের অন্যতম দর্শণীয় স্থান।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
টাঙ্গাইলে প্রচণ্ড দাবদাহে জনজীবন ওষ্ঠাগত ॥ হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বাড়ছে
-
পুলিশের বাগড়া দেওয়া অসম প্রেমিক দুই ছাত্রীর জামিন মঞ্জুর
-
আ’লীগ কার্যালয়ের তালা ভাঙার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল
-
বংশাই নদীতে ব্রিজের অভাবে ২৫ গ্রামবাসীর ঝুঁকিতে পারাপার
-
পানির গিজার থেকে জব্দকৃত ৪৯ কেজি গাঁজা সহ চার বিক্রেতা আটক
-
এমপি’র দুই ভাই ধনবাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী
-
সনদ বাণিজ্যের অভিযোগে স্ত্রী গ্রেপ্তার :: কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি
-
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া :: ভাড়ার ছাড় প্রত্যাহার