আজ- ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  সন্ধ্যা ৬:৪৬

পাকিস্তানি কিশোরীর ধর্ষকসহ দুই জনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর

 
আদালত থেকে বেড়িয়ে আসছেন আল আমিন ও সুমন।

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলে গোপালপুরের বহুল আলোচিত পাকিস্তানি কিশোরীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আল আমীন ও তার ভাই সুমনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার(২৪ এপ্রিল) বিকাল ৪ টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক রুপম কুমার দাস এই আদেশ দেন। এদিকে, আল আমিনের মা জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। মামলার বাদী ও ধর্ষিতার মা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। বর্তমানে এই মামলায় তিন জন গ্রেপ্তার রয়েছে।
এরআগে মঙ্গলবার(২৩ এপ্রিল) কুড়িগ্রাম থেকে মামলার প্রধান আসামি আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব সদস্যরা। এরপর বুধবার আসামি আল আমীনকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেন। এদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্ষিত কিশোরীর(দোভাষির মাধ্যমে) টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নওরিন মাহবুবের কাছে ২২ ধারার জবানবন্দি প্রদান করেছেন। বর্তমানে ধর্ষিত কিশোরী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পুলিশী হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা. নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন ওই কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। চূড়ান্ত ফলাফল আদালতের মাধ্যমে জানা যাবে। কিশোরীর জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তিনি এখন বিপদমুক্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোপালপুর থানার এসআই সাদেকুর রহমান বলেন , আসামি আল আমিন ও তার ভাইয়ের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। পরে আদালত তাদের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার ভাই সুমন অপহরণের সাথে জড়িত ছিল।
গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, ভিসা নিয়ে পাকিস্তান থেকে মায়ের সাথে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন ওই কিশোরী। তিনি পাকিস্তানের নিউ করাচির পুপার হাইওয়েজ রোডের নাগরিক এবং সেখানকার ছাত্রী। গত ১৬ এপ্রিল(মঙ্গলবার) রাতে একদল সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় তাকে কাকার বাড়ি থেকে কৌশলে অপহরণ করে তার আপন চাচাত ভাই। পরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এমতাবস্থায় গত ১৭ এপ্রিল(বুধবার) রাতে আল আমীনসহ তিনজনকে আসামি করে মেয়েটির মা গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে থানা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) ভোরে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে বন্দি অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। ওই দিনই আল আমিনের মাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno