আজ- ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার  দুপুর ১:৫৩

পালিয়ে আসিনি- সমঝোতায় বিয়ে করেছি :: গৃহবধূ শাহনাজ

 

দৃষ্টি নিউজ:

rbt

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বর্ণী কিশোরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গৃহবধূ মোছা. শাহনাজ আক্তার(৩৩) ‘পরকীয়ার কারণে স্বামীর টাকা-স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ঘর ছেড়ে প্রেমিককে বিয়ে করেছেন’ সংবাদ সম্মেলনে এমনতর অভিযোগের প্রতিবাদ করে বলেছেন, ‘আমি পালিয়ে আসিনি- বনিবনা না হওয়ায় স্বামী সুলতান মাহমুদকে নিয়মানুযায়ী তালাক দিয়ে ছয় মাস পর পরিবারের সমঝোতায় বিয়ে করেছি’।

তিনি বলেন, টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া গ্রামের সুলতান মাহমুদের সাথে তার দীর্ঘদিন আগে বিয়ে হয়। ওই সংসারে তার মেয়ে মাইমুনা আক্তার তানহা সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে ও ছেলে আদিল আহানাফের বয়স আড়াই বছর। তার স্বামী সুলতান মাহমুদ দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকেছেন। প্রবাসে থাকাকালে তিনি তার ভাইদের কথায় টাকা-পয়সা লেনদেন করেছেন। তিনি যখন যেখানে যেভাবে টাকা খরচ করতে বলেছেন তিনি(শাহনাজ) তাই করেছেন। অথচ তার প্রাক্তন স্বামী সুলতান মাহমুদ কিশোরী মেয়ে মাইমুনা আক্তার তানহাকে দিয়ে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে গত ১২ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে ডাহা মিথ্যা কথা পাঠ করিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ‘তার বাবা প্রবাসে থাকাকালে (২০০৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত) মায়ের পূবালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে(হিসাব নং-৩৪২৫১০১০৪৩৪২০) ৫৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭২ টাকা পাঠিছেন। এ ছাড়া মাকে তার বাবা বিভিন্ন সময়ে মোট ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার ও সখীপুর মৌজায় জমি কিনে দিয়েছেন এবং তার নানার বাড়িতে দুটি টিনের ঘরও নির্মাণ করে দেন’।

আরো বলা হয়েছে, ‘গত ৮ নভেম্বর মোছা. শাহনাজ আক্তার নগদ ২০ লাখ টাকা ও ১৬ বড়ি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে এবং তার ছোট ছেলে আদিল আহানাফকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। বিভিন্ন এলাকা এবং আত্মীয়ের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে তারা বাবা জানতে পারেন মোছা. শাহনাজ আক্তার পরকীয়া প্রেমিক টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরদিঘুলিয়া গ্রামের হাসান মাষ্টারের ছেলে মনিরুজ্জামান মামুনের(মাসুম) সাথে পালিয়ে গেছে’।

তিনি দাবি করেন, সংবাদ সম্মেলনে পঠিত উল্লেখিত কথাগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

প্রকৃত সত্য হচ্ছে, তার প্রাক্তন স্বামী সুলতান মাহমুদ প্রবাসে থেকেও তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে। প্রায় তিন বছর আগে দেশে এসে তাকে অহেতুক শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করতে থাকে। ফলে গত ১৬ মে তারিখে এফিডেভিটের মাধ্যমে তার স্বামী সুলতান মাহমুদকে তালাকের ঘোষণা দেন এবং ১৯ মে টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৬নং ওয়ার্ডের কাজী অফিসের মাধ্যমে ওই তালাক কার্যকর করেন। তালাকের পর থেকে তিনি সুলতান মাহমুদের বাড়ি ছেড়ে বাসাইল উপজেলা সদরের মাস্টারবাড়ি এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করতে থাকেন। এ সময় তার মেয়ে মাইমুনা আক্তার তানহা ও ছেলে আদিল আহানাফ তার সাথেই ছিল। তালাকের পর পৃথকভাবে বসবাস করার সময় তার প্রাক্তন স্বামী সুলতান মাহমুদ বাব বার তাকে ফিরিয়ে নিতে তৎপরতা চালায়। এ নিয়ে একাধিকবার ঘরোয়াভাবে গ্রাম্য সালিশ হয়েছে।

পরে অভিভাবকদের পরামর্শে নিরাপত্তা সহ সার্বিক বিবেচনায় পারিবারিক সমঝোতায় গত ১০ নভেম্বর ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরদিঘুলিয়া গ্রামের হাসান মাষ্টারের ছেলে মনিরুজ্জামান মামুনের(মাসুম) সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন।

তিনি আরো জানান, তিনি একজন স্বাধীনচেতা ও চাকুরিজীবী। প্রাক্তন স্বামীর টাকা-পয়সার প্রতি তার কোন লোভ নেই। তিনি কোন প্রকার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার সুলতান মাহমুদের কাছ থেকে নেননি। উপরন্তু তার প্রাক্তন স্বামী সুলতান মাহমুদ সখীপুর-বাসাইলের এমপি, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, ৩০ নং বর্ণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর নানা ধরণের ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করে তাকে হয়রানী করছেন। তিনি মেয়ে মাইমুনা আক্তার তানহাকে তার কাছে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সুলতান মাহমুদের মনভুলানো কথায় কান না দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno