আজ- ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  সকাল ৮:৩১

বাংড়া ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে পাঁচ আ’লীগ নেতার দৌঁড়ঝাপ

 

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ৫ নং বাংড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পাঁচ নেতা আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কিনে জমা দিয়ে দৌঁড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন। তারা হচ্ছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, বাংড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান, উপজেলা আ’লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু বকর সিদ্দিকী ও ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা মো. শফিকুল ইসলাম শফি।
জানাগেছে, আগামি ২৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার(২২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টা পর্যন্ত আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন বিক্রির শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে মোট পাঁচজন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনেন। শুক্রবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টা পর্যন্ত তারা সবাই দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় জমা দেন।

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ:

কালিহাতী উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ষিয়ান রাজনীতিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বাংড়া ইউনিয়নের পুগলী গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম মৃত ওমর আলী মিয়া। তিনি বিগত ২০০৩ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। ইতোপূর্বে তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত দুই দফায় ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত কালিহাতী উপজেলা বিআরডিবি’র নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
দল তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে তিন হাজার ভোট বেশি পেয়ে চেয়ারম্যান পদে আবারও বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ দলীয় মনোনয়ন না পেলে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে যা যা করনীয় তাই করবেন। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ পাস।

মোখলেছুর রহমান:

বাংড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান। তিনি বাংড়া ইউনিয়নের খিলদা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবা মৃত মোসলেম উদ্দিন আহমেদ বাংড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে জেল-জুলুম সহ্য করেন। ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
ত্যাগী আওয়ামী পরিবারের সন্তান মোখলেছুর রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর বাংড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৭ সালে কালিহাতী উপজেলা ইউপি সদস্য সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।
এসএসসি পাস মোখলেছুর রহমান স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় একাধিক মামলার শিকার হন এবং কারাভোগ করেন। দল তাকে মনোনয়ন না দিলে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। দলীয় মনোনয়ন পেলে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে চেয়ারম্যান পদটি আওয়ামীলীগকে উপহার দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

মো. মোয়াজ্জেম হোসেন:

কালিহাতী উপজেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি এ ইউনিয়নের বাঘুটিয়া গ্রামের সমসের আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। রাজনৈতিক সকল অনুষ্ঠানে তিনি যোগদান করেন। তিনি খিলদা উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক সভাপতি।
শিক্ষার প্রতি নিবেদিত এসএসসি পাস মো. মোয়াজ্জেম হোসেন মনে করেন, দল তাকে মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। দল তাকে মনোনয়ন না দিলে তিনি দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নিরলসভাবে কাজ করবেন।

আবু বকর সিদ্দিকী:

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিকী। তিনি বাংড়া ইউনিয়নের বাঘুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তরুণ এ নেতার বাবার নাম মৃত আব্দুল হামিদ। তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য এবং ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি কালিহাতী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ মনোনীত জিএস ছিলেন।
দলের প্রতি নিবেদিত ও তরুণদের প্রিয় ব্যক্তিত্ব আবু বকর সিদ্দিকী স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন- পুলিশি নির্যাতন সহ্য করেছেন। তিনি শহীদ শফি সিদ্দিকী হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী। শফি সিদ্দিকীর সার্বক্ষণিক সঙ্গী থাকায় দুর্বৃত্তরা তাকেও কুপিয়ে-পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছিল। সাদা মনের মানুষ আবু বকর সিদ্দিকী বাঘুটিয়াস্থ আয়ান এডুকেশন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।
আত্মপ্রত্যয়ী আবু বকর সিদ্দিকী মনে করেন, দল তাকে মনোনয়ন দিলে বাংড়া ইউনিয়নের মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে এবং তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে বাংড়া ইউনিয়নে উন্নয়নে বিপ্লব ঘটাতে পারবেন। দল তাকে মনোনয়ন না দিলে তিনি শারীরিক-মানসিক-আর্থিক সহ সার্বিকভাবে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন। তিনি ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ থেকে এমএসএস করেছেন।

মো. শফিকুল ইসলাম শফি:

বাংড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত মো. শফিকুল ইসলাম শফি। তিনি ইছাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আলীমের ছেলে। তিনি বাংড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
তরুণ-যুবকদের প্রিয় ব্যক্তিত্ব মো. শফিকুল ইসলাম শফি দলীয় মিটিং-মিছিল, সভা-সমাবেশ সহ সকল আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ গ্রহন করেন। তিনি দলীয় মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের সহযোগিতা নিয়ে ‘বাংড়া ইউনিয়ন’কে একটি আদর্শ ইউনিয়ন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবেন- সকল নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করবেন। দলীয় মনোনয়ন না পেলে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন।
উদীয়মান নেতা মো. শফিকুল ইসলামের মতে, তিনি ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের একক প্রার্থী, অন্য ৪জন প্রার্থী ৩ ও ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ভোটের হিসেবে তিনিই এ ইউনিয়নের যোগ্য প্রার্থী। আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের সমর্থন নিয়ে তিনি দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিকম(অনার্স), এমকম।
প্রকাশ, আগামি ২৯ মার্চ বাংড়া ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

 

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno