ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সহ তিন নেতাকে স্থায়ী বহিস্কার!

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতিসহ তিন নেতাকে স্থায়ী বহিস্কার ও দুই নেত্রীকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি বিশ্বস্ত সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। শিক্ষক লাঞ্ছনা এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় এ বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও সূত্রটি নিশ্চিত করেছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশে গত ২১ এপ্রিল ডাকা লিয়াঁজো অফিসে অনুষ্ঠিত ২০৪তম রিজেন্ট বোর্ডের ১০তম জরুরি সভায় বহিস্কারের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। তবে এ বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন লুকোচুরি করছে।
শিক্ষক লাঞ্চনার জন্য স্থায়ী বহিস্কৃতরা হচ্ছেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব তালুকদার, সহ-সভাপতি মো. ইমরান মিয়া ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. জাবির ইকবাল। এবং এক সেমিস্টারের জন্য বহিস্কার হয়েছেন সহ-সভাপতি আদ্রিতা পান্না। অপরদিকে, শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা যৌন হয়রানির অভিযোগ আনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ঈশিতা বিশ্বাস তিশাকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে। তবে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় সাময়িক বহিস্কৃত ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাতের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য তথ্য-প্রমাণ না থাকায় তাকে সতর্ক করে সাধারণ ক্ষমা করা হয়।
গত বছরের(২০১৮ সালে) ৭ অক্টোবর বিশ^বিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ঈশিতা বিশ^াস তিশা পূর্ববর্তী সেমিস্টারে পাস না করলেও বিশ^বিদ্যালয় অর্ডিন্যান্সের বিধি অমান্য করে ওই ছাত্রীকে পরীক্ষার সিটে বসিয়ে দেয় ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব তালুকদার ও তার সহযোগিরা। এ সময় ওই বিভাগের শিক্ষকরা বাধা দিতে গেলে লাঞ্ছনার শিকার হন। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতিসহ পাঁচ জনকে বহিস্কার না করায় পরদিন ৫৬ শিক্ষক প্রসাশনিক ও একাডেমিক পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন তোপেড় মুখে রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভার মাধ্যমে উল্লেখিত পাঁচজনকে সাময়িক বহিস্কার করে এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. শরীফ এনামুল কবিরকে আহ্বায়ক, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. একেএম সাইদুল হক চৌধুরীকে সদস্য সচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. সিরাজুল ইসলামকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ওই সময়ে ইশিতা বিশ্বাস তিশা তার শিক্ষক মহিউদ্দিন তাসনীমের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। পরে তদন্তে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
বুধবার(২৪ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সিরাজুল ইসলামের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা যে বিষয়টি জানতে চাচ্ছেন সেটির এখনো প্রশাসনিক আদেশে স্বাক্ষর হয়নি। স্বাক্ষরিত হলে বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট করা হবে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে