আজ- ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শনিবার  রাত ৮:৩৯

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা সংকটে, ঘটছে নানা অঘটন

 

দৃষ্টি নিউজ:


প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর অতিক্রম করলেও জোড়দার হয়নি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। টাঙ্গাইলের সন্তোষে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসটি রয়েছে সম্পূর্ণ অরক্ষিত। ফলে নানা সময়েই ঘটছে নানা অঘটন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিচ্ছিন্নভাবে প্রায় ৫৭ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঘান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রযেছে ৫টি গেট, ৩টি একাডেমিক ভবন, ৫টি হল, প্রশাসনিক ভবন, ভিসির বাসভবন, অতিথি ভবন, ক্যাফেটেরিয়া, শিক্ষক-কর্মকর্তা ডরমেটরী এবং ৩য়-৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ডরমেটরী। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে রয়েছে মওলানা ভাসানীর মাজার, ৫টি পাবলিক রাস্তা, ২টি প্রাইমারী স্কুল, ২টি হাই স্কুুল, একটি কলেজ, একটি কেজি স্কুল, একটি হেফজ খানা এবং একটি স্থানীয় মন্দির। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই সন্তোষ বাজার অবস্থিত হওয়ায় এলাকার জনগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তাগুলো ব্যবহার করে থাকে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনুকরন করতে গিয়ে তৈরি করে নানা বিশৃঙ্খলা।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, তিন বছর আগে শুরু করা সীমানার প্রাচীর নির্মাণ ব্যয় প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা হলেও প্রাচীরগুলো এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, যার নিচ দিয়ে যে কেউ অনায়াসে বিনা বাধায় যাতায়াত করতে পারে। তারা আরো অভিযোগ করেন, অরক্ষিত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই বহিরাগত সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয় এবং ঘটে চুরির ঘটনা।
গত ১২ এপ্রিল বহিরাগত হামলার শিকার হন গণিত বিভাগের রাগিব আলম রানা এবং এরপর ২ অক্টোবর রসায়ন বিভাগের মোখলেছুর রহমান মুহিত। এছাড়াও সম্প্রতি ৩টি পানি তোলা মটর, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান হলের ৫৬টি ফ্যান, ভিসির বাসভবন সহ বিভিন্ন স্থাপনায় চুরির ঘটনাও ঘটে। এত সমস্যার মাঝে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রহরী রয়েছে মাত্র ৩০ জন, অথচ প্রহরী প্রয়োজন নূন্যতম ৭৫ জন। ৮ ঘণ্টার রুটিন ডিউটিতে ৬ জন নিরাপত্তা প্রহরীকে ওভার টাইম করালেও বিভিন্ন জায়গা থেকে যায় নিরাপত্তা প্রহরী শূন্য।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নিরাপত্তা প্রহরী বলেন, নিরাপত্তা প্রহরী কম হওয়ায় ওভার টাইম অনেকটাই আমাদের উপর জোড় করেই চাপিয়ে দেয়া হয়। যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরীরা ওভার টাইম পায় ৪০০-৫০০ টাকা, সেখানে আমরা পাই মাত্র ১৪৪ টাকা।
স্থানীয় জনগণের জন্য ডাইভারশন রাস্তা নির্মাণ, নিরাপত্তা প্রহরী বাড়ানো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো স্থানান্তর করলে নিরাপত্তা সমস্যার অনেকটা সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। দ্রুত নিরাপত্তা সমাস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা ডাইভারশন রাস্তার পরিকল্পনা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে ৩০ জন আনসারের জন্য চাহিদা দিয়েছি। এখনও অনুমোদন হয়নি, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno