আজ- ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার  রাত ৯:৪৬

ভূঞাপুর-তারাকান্দি ভাঙা বাঁধ সংস্কারে সেনা মোতায়েন

 

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের তারাকান্দি-ভূঞাপুর সড়কের টেপিবাড়িতে ভাঙন সংস্কারে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার(১৯ জুলাই) সকালে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণায়লের সচিব কবীর বিন আনোয়ার এবং ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও ঘাটাইল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম বিপি।

তাদের দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাসের পরপরই সকাল থেকে সংস্কারের কাজ শুরু করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এর আগে বৃহস্পতিবার(১৮ জুলাই) রাতে ভাঙনের কবলে পড়ে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার টেপিবাড়ি এলাকায় ভূঞাপুর-তারাকান্দি বাঁধ। বাঁধটি ভেঙে নতুন করে আরো ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ভূঞাপুর-তারাকান্দি বাঁধ (সড়কটি) ভেঙ্গে যাওয়ায় টাঙ্গাইলের সাথে তারাকান্দি ও সরিষাবাড়ির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাঁধটি ভাঙার কারণে জেলার গোপালপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যা কবলিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। তবে জেলার এই বিচ্ছিন্ন হওয়া যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে ভূয়াপুর-তারাকান্দি বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশটি মেরামত কাজে অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে, টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় ৮ সেন্টমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার ৬টি উপজেলায় নদী তীরবর্তী ২২টি ইউনিয়নের প্রায় ১২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ২০ হাজার পরিবারের লক্ষাধিকেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

বন্যা কবলিত ও পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ এখন বসতবাড়ি, আবাদী জমি আর খাদ্য শস্য হারিয়ে চরম মানববেতর জীবন কাটাচ্ছে। গবাদি পশু নিয়ে মানুষ উচু বাঁধ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও জেলার পানিবন্দি প্রতিটি গ্রামেই দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। যদিও বন্যা কবলিত গ্রামগুলোতে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

এখনও বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করা সম্ভব না হলেও জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তথ্যানুসারে এ জেলার বন্যা কবলিত এলাকার ৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বন্ধ হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ৯টি মাধ্যমিক এবং ৫৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর মধ্যে জেলার সর্বোচ্চ বন্যা কবলিত ভূঞাপুর উপজেলার ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৫টি মাদরাসা ও ৪৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও এক হাজার ৯১২ হেক্টর ফসলি জমি এবং সবজি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ জানান, বন্যা কবলিতদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যদিও অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধির ফলে ইতোপূর্বে ভেঙে যাওয়া অর্জুনা ইউনিয়নের তাড়াই বাঁধ ভাঙন অংশে কাজ করছে পাউবো।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno