আজ- ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  সকাল ১০:০৮

ভূঞাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেঞ্চ সঙ্কট ॥ ফ্লোরে বসিয়ে পরীক্ষা গ্রহন

 

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তীব্র আসন সঙ্কটের কারণে শিক্ষার্থীদের ফ্লোরে বসিয়ে ও দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা গ্রহন করা হচ্ছে। ফলে শনিবার(১১ আগস্ট) পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিলে পরীক্ষার হলে সাময়িক হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে রোববার(১২ আগস্ট) থেকে দুই শিফটে পরীক্ষা গ্রহন করে সাময়িকভাবে বিষয়টির সমাধান করা হয়।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ভূঞাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৩৩ জন। শিক্ষক রয়েছে ১৪ জন। শ্রেণি কক্ষের সংখ্যা ১৪টি থাকলেও দুইটি পরিত্যাক্ত ও দুইটি রুম অত্যন্ত ঝুঁপিপুর্ণ। প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষর্থীদের বসার জন্য মোট বেঞ্চ রয়েছে ১৪৬টি। এতে প্রতি বেঞ্চে দুইজন করে শিক্ষার্থী বসার কথা থাকলেও ৪ফুটের দৈর্ঘের প্রতি বেঞ্চে ৪-৫ জন করে শিক্ষার্থীকে গাদাগাদি করে বসে ক্লাস করতে হয়। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রতি বেঞ্চে ৩ জন করে শিক্ষার্থী বসালেও সকল পরীক্ষার্থী বেঞ্চে বসে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পায়না। বাকিদের ফ্লোরে বসে পরীক্ষা দিতে হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা চলছে।
গত শনিবার একই সময় সকল শ্রেণির দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা ছিল। প্রয়োজনীয় আসন না থাকায় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে ফ্লোরে বসিয়ে ও দাঁড়িয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চরম বিপাকে পড়তে হয়। তাদের মনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সৈয়দ তাহাসান হাবিব, দ্বিতীয় শ্রেণির লিটন, তৃতীয় শ্রেণির নিক্সন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শ্রেণি কক্ষে গাদাগাদি করে প্রতি বেঞ্চে ৪-৫ জন বসে আমরা লিখতে পারিনা। আর পরীক্ষার হলে আমাদের মেঝেতে বসে পরীক্ষা দিতে হয়।
অভিভাবক শারমিন সুলতানা, মাসুদ আলম সহ অনেকে বলেন, একটি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই বেহাল দশা আমরা ভাবতেও পারিনা। কর্তৃপক্ষ কেন প্রতিষ্ঠানটির দিকে নজর দেননা সেটাও আমরা বুঝতে পারিনা।
ভূঞাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ খানম প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ সঙ্কটের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘উপজেলার সকল বিদ্যালয়ের মধ্যে আমাদের প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট বরাবরই ভাল। কর্তৃপক্ষকে বেঞ্চ সঙ্কটের বিষয়টি বার বার অবহিত করেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেঞ্চ পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে ফ্লোরে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে’। তিনি বলেন, এ বিদ্যালয়ে অন্তত ৩০০শ’ জোড়া বেঞ্চ প্রয়োজন’।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহনেওয়াজ পারভীন বলেন, বেঞ্চ সঙ্কটের বিষয়টি সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল আজিজ জানান, ভূঞাপুর উপজেলার যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত বেঞ্চ আছে, সেখান থেকে বেঞ্চ এনে আপাতত সমস্যার সমাধান করতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরে বিষয়টির স্থায়ী সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno