প্রথম পাতা / অর্থনীতি /
মধুপুরে কাউছিরবাজার-দোখলা সড়ক ৪৭ বছরেও সংস্কার হয়নি
By দৃষ্টি টিভি on ১৭ অক্টোবর, ২০১৮ ৮:৪৫ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় এলাকার বহু পুরানো কাউছিরবাজার-ধরাটি-দোখলা সড়কটি স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৭ বছর পরেও সংস্কারের মুখ দেখেনি। লালমাটি অধ্যূষিত কৃষি নির্ভর কুড়াগাছা, অরনখোলা, শোলাকুড়ি, ফুলবাগচালা এ চার ইউনিয়নের প্রায় ৩৫টি গ্রামের আদিবাসী গারো সম্প্রদায়ের প্রায় দুই লাখ কৃষকের পণ্য আনা-নেয়ার একমাত্র সড়ক এটি। সড়কটি সংস্কার না করায় আদিবাসী গারো সম্প্রদায় সহ স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, মধুপুরের রসুলপুর থেকে দোখলা হয়ে চাঁনপুর সড়কটি পাকিস্তান আমলে ধনবাড়ী উপজেলার সাথে সংযুক্ত হয়েছে। এ সড়কটি শোলাকুড়ি ও অরণখোলা ইউনিয়ন পরবর্তীতে ইউনিয়ন ভাগের ফলে কুড়াগাছা ও ফুলবাগচালা ইউনিয়নের সীমান্ত সড়ক হওয়ার কারণে কোন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সড়কটিকে গুরুত্ব দেননা। ফলে যুগের পর যুগ ধরে অবহেলিত রয়েছে, সড়কটি স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৭ বছরেও সংস্কারের মুখ দেখেনি। সড়কটি দিয়ে কুড়াগাছা, অরনখোলা, শোলাকুড়ি ও ফুলবাগচালা ইউনিয়ন ও ধনবাড়ী উপজেলার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে। সড়কটি আদিবাসী ও এসব এলাকার কৃষকদের জন্য খুবই গুরেুত্বপূর্ণ। এ সড়ক দিয়ে আনারস, কলা, আদা, হলুদ, পেঁপে, কচুসহ নানা কৃষি ফসল বাজারে নিয়ে যেতে হয়। রাস্তা কাঁচা থাকার ফলে কৃষকদের চলাচলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষাকালে দুর্ভোগের মাত্রা আরোও বেড়ে যায়। কাঁদা জলে একাকার হয়ে পড়ে সড়কটি। উৎপাদিত কৃষি পণ্য পানির দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয় অথবা কয়েক গুন ভাড়া বেশি দিয়ে কাঁচা মাল বাজারে নিতে হয়। এজন্য কৃষি ক্ষেত্রে এ এলাকার কৃষকরা নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ফসল উৎপাদন করেও ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কাউছির বাজার থেকে কোনাবাড়ী অংশের অবস্থা আরও করুণ। ওই এলাকার অর্থনীতির চালিকা শক্তি কৃষি। কৃষকরা তাদের কৃষি পণ্য নিয়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছে। কাঁচামাল পরিবহনে তাদের দিগুন ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সড়কটি পাকা করণের দাবি এলাকাবাসীর।
ধরাটি গ্রামের আদিবাসী নিকেন মৃ জানান, বর্ষাকালে হাট-বাজারে যেতে ও যাতায়াত করতে সীমাহীন কষ্ট করতে হয়। এ গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যেতেও মারাত্মক সমস্যা হয়। এলাকাটি কৃষি নির্ভর হওয়ায় এলাকার সিংহভাগ মানুষ আনারস- কলাসহ নানা কৃষি ফসল উৎপাদন করে থাকে। রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। খরচও বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
একই গ্রামের মর্নিংটন চিরান জানান, আদিবাসীদের সংসদ নির্বাচনে সাইনামারী থেকে ভোট দিতে ১০কিলোমিটার দূরে মমিনপুরে যেতে হয়। বর্ষাকালে তাদের অনেকেই ভোট দিতে যেতে পারেননা। এ জন্য তারা রাস্তাটি পাকা করণের দাবি জানান।
ওই গ্রামের ইউপি সদস্য নাজিরুল ইসলাম রোমান ও অর্চনা নকরেক জানান, কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য ও আদিবাসী শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে দ্রুত সড়কটি পাকা করা প্রয়োজন। বর্ষাকালে তাদের দুঃখ- দুর্দশা প্রকট আকার ধারণ করে। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি ছাড়া তারা কিছু পাননি।
কুড়াগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক সরকার জানান, পাকিস্তান আমল থেকে সড়কটি অবহেলিত। দুই ইউনিয়নের সীমানা সড়ক হওয়ার কারণে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে প্রকল্প দেয়া সম্ভব হয়না। অথচ কৃষি পণ্য সরবরাহ সহ নানা কারণে সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া এলাকার মানুষদের ১০-১২ কিলোমিটার দূরে গিয়ে সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে হয়। তিনি সড়কটি দ্রুত পাকা করণের দাবি জানান।
মন্তব্য করুন
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
যমুনার বুকে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পৌনে চার কিমি দৃশ্যমান
-
টাঙ্গাইলে ৯৬৬ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক ৪
-
টাঙ্গাইলে ভিডিপি সদস্যদের মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
-
টাঙ্গাইলে ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ
-
টাঙ্গাইলে দুই দফা দাবিতে ইণ্টার্ন চিকিৎসকদের মানববন্ধন
-
কালিহাতীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
-
মহাসড়কে ছিনতাইকালে দুই পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
-
সাপ্তাহিক সমাজচিত্র পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন