আজ- ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  রাত ৩:৩২

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ফের পেছাল

 

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩(ঘাটাইল) আসনের আওয়ামীলীগ দলীয় সাংসদ আমানুর রহমান খান রানাকে আদালতে হাজির না করায় এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহন হয়নি। এ নিয়ে এ মামলার ধার্য তারিখ তৃতীয় দফা পেছাল। এমপি আমানুর রহমান খান রানা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফিষ্টুলা অপারেসনের কারণে ঢাকা মেডিকেলের ড. আনম নূরে আজমের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। ফিষ্টুলা অপারেসন জনিত কারণে তিনি ভ্রমনের অনুপযোগী হওয়ায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামি বছরের ২২ জানুয়ারি। সোমবার(২৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিঞা সাক্ষগ্রহনের এই নতুন তারিখ ঘোষণা করেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম খান জানান, আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিঞা সোমবার সকাল ১১টায় এজলাশে বসেন ও প্রথমেই চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার কার্যক্রম শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষ মামলার বাদি নাহার আহমেদ, ছেলে আহমেদ মজিদ সুমন ও মেয়ে ফারজানা আহমেদ মিথুনের হাজিরা দাখিল করেন। কিন্তু মূল আসামী উপস্থিত না থাকায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামী পক্ষের শুনানী শেষে বিচারক মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন আগামি ২২ জানুয়ারি-২০১৮। এ মামলায় তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল গফুর ও অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল বাকি, জহিরুল ইসলাম জহিরসহ আরো কয়েকজন।
প্রকাশ, বিগত ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরস্থ কলেজ পাড়ায় হত্যা শিকার হন জেলা আ’লীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ। ঘটনার তিনদিন পর ফারুক আহমদের স্ত্রী নাহার আহমদ বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রথমে পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত শেষে টাঙ্গাইল-৩(ঘাটাইল) আসনের সাংসদ আমানুর রহমান খান, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী ঐক্যজোটের সভাপতি জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জনকে আসামি করে অঅদালতে অভিযোগপত্র(চার্জশিট) দাখিল করে। এর মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকি ১০ আসামি পলাতক রয়েছে।
টাঙ্গাইল-৩(ঘাটাইল) আসনের এমপি আমানুর রহমান খান রানা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফিষ্টুলা অপারেশনের কারণে ঢাকা মেডিকেলের ড. আনম নূরে আজমের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। অপারেশন জনিত কারণে তিনি ভ্রমনের অনুপযোগী হওয়ায় আদালতে হাজির না করায় ইতিপূর্বে নয়বার এই মামলার অভিযোগ গঠণের শুনানী পিছিয়ে যায়। এরপর গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলাটির অভিযোগ গঠণ করা হয়। একই সাথে স্বাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন ছিল ১৮ অক্টোবর। অসুস্থ্যতার কারণে এমপি রানাকে আদালতে হাজির না করায় ওইদিনও সাক্ষ গ্রহন করা হয়নি। আদালত সাক্ষগ্রহনের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন ১ নভেম্বর। ১ নভেম্বরও অসুস্থ্য জনিত কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় এর পরবর্তী দিন ধার্য হয় ২৭ নভেম্বর। এদিনেও অসুস্থ্যতার কারণে আদালতে হাজির না করায় বিচারক মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন আগামি ২২ জানুয়ারি-২০১৮।
অপরদিকে, এ ঘটনায় করা মামলায় গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে এমপি রানাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। পরে জামিন আবেদন করলে ২৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিঞা তার জামিন নাকচ করে আদেশ দেন। বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন নাকচের পর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন এমপি রানা। গত ১৩ এপ্রিল জামিন মেলে এমপি রানার। বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এএনএম বসির উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে অন্তর্বতীকালীন জামিন দেন। গত ৮মে সাংসদ রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন চার মাসের জন্য স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এই মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno