আজ- ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  সকাল ৭:৩৮

রূপা গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার তৃতীয় দফায় স্বাক্ষ্য গ্রহণ

 

দৃষ্টি নিউজ:

ফাইল ছবি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আদালতে তৃতীয় দফায় স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার(৮ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এ স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তৃতীয় দফায় মোট চারজন স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। স্বাক্ষ্যগ্রহণের প্রথমে স্বাক্ষ্য দেন মামলার স্বাক্ষী এমএ রৌফ, দ্বিতীয় স্বাক্ষী দেন মো. ইমান আলী, তৃতীয় স্বাক্ষী দেন মো. হাসমত আলী, ও চতুর্থ স্বাক্ষী দেন মো. লাল মিয়া।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি একেএম নাছিমুল আখতার জানান, টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এ স্বাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন। তৃতীয় দিনের এ স্বাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম পর্ব চলে সকাল ১২টা থেকে দুপুর ১টা ১৫মিনিট পর্যন্ত। এতে মোট চারজন স্বাক্ষী স্বাক্ষ্যপ্রদান করেন। এর মধ্যে প্রথমে স্বাক্ষ্য দেন মামলার স্বাক্ষী এমএ রৌফ, মো. ইমান আলী, মো. হাসমত আলী ও মো. লাল মিয়া।
আগামিকাল মঙ্গলবার(৯ জানুয়ারি) আরো নয় জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে বলে আদেশ দেন আদালতের বিচারক। তারা হচ্ছেন কিশোর, মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল বারেক, লিটন মিয়া, রুবেল মিয়া, হযরত আলী, আমেনা খাতুন, হাফিজুর ও আব্দুল মন্ডল। এরআগে বুধবার(৩ জানুয়ারি) প্রথমে স্বাক্ষ্য দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমিনুল ইসলাম ও রোববার(৭ জানুয়ারি) স্বাক্ষ্য দেন চার জন। তারা হচ্ছেন, প্রথম স্বাক্ষী আব্দুর রশিদ, দ্বিতীয় স্বাক্ষী দেন মামলার বাদী প্রবীন এন কুমার, তৃতীয় স্বাক্ষী দেন মো. আবুল হোসেন ও চতুর্থ স্বাক্ষী দেন মো. রহিজ উদ্দিন।
বিশেষ পিপি একেএম নাছিমুল আখতার আরো জানান, এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ছোঁয়া পরিবহনের সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীর (৫৫) বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধিত ২০০৩) ৯ এর তিন ধারায় গণধর্ষণের অভিযোগ এবং দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যার অভিযোগ, ২০১ ধারায় লাশ গুমের অভিযোগ এবং ৩৪ ধারায় সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশিটে। চার্জশীটে ৩২জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এদের মধ্যে পুলিশ, চিকিৎসকসহ পাঁচ-ছয়জন সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন।
এ মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের সহায়তায় ছিলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলার সমন্বয়কারি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন শামীম চৌধুরী দয়াল ও ঢাকা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে পরিবহন শ্রমিকরা। বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে রূপার মরদেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে রূপার মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন। ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীর এবং চালক হাবিবুর ও সুপারভাইজার সফর আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা প্রত্যেকেই আদালতে হাজির করা হয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার আসামিরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno