আজ- ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার  দুপুর ১২:১০

শ্রমিক নেতা আমিনুলকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

 

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ওয়াহেদুজ্জামান শিকদার পোশাক শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম হত্যা মামলার রায়ে রোববার(৮ এপ্রিল) মোস্তাফিজুর রহমান(২৩) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন। দন্ডিত মোস্তাফিজুর রহমান মাগুরা জেলার কাদিরপাড়া (পূর্বপাড়া) গ্রামের মো. সমসের কারিগরের ছেলে। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। নিহত আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির(বিসিডব্লিউএস) সংগঠক ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের নেতা ছিলেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, রোববার সকাল সাড়ে ১১ টায় টাঙ্গাইলের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ওয়াহেদুজ্জামান শিকদার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে মোস্তাফিজুর নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যু দন্ডের আদেশ দিয়েছেন। তবে এই মামলার একমাত্র আসামি মাগুড়া জেলার মো. মোস্তাফিজুর রহমান এখনো পলাতক রয়েছে। তার অনুস্থিতিতেই বিজ্ঞ আদালত এ রায় দেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল আশুলিয়া থেকে নিখোঁজ হওয়ার পরদিন আমিনুল ইসলামের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ ৫ এপ্রিল সকালে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঘাটাইল উপজেলার ব্রাহ্মণশাসন এলাকা থেকে অজ্ঞাত মরদেহ হিসেবে উদ্ধার করে ঘাটাইল থানা পুলিশ। মরদেহটির কোন পরিচয় না পেয়ে থানা ও আঞ্জুমানে মফিদুল কর্তৃপক্ষ বেওয়ারিশ মরদেহ হিসেবে ৬ এপ্রিল টাঙ্গাইল গোরস্থানে দাফন করা হয়।
পরে জানা যায়, অজ্ঞাত ব্যক্তির নামীয় মরদেহটিই সাভার-আশুলিয়ার গামেন্টস শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম। তাকে হত্যা করে এখানে ফেলে রেখে যায় অজ্ঞাতরা। বেওয়ারিশ হিসেবে আমিনুলের মরদেহ উদ্ধারের পর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে থানা পুলিশ। পরে পরিচয় পাওয়ার পর আত্মীয়-স্বজনরা ৭ এপ্রিল তার মরদেহ উত্তোলন করে আমিনুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি গাজীপুর জেলার হিজলহাটি গ্রামে নিয়ে দাফন করে। এ ঘটনায় আমিনুলের ভাই রফিকুল ইসলাম এ ঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমান ও বোরকা পরা অজ্ঞাতনামা এক নারীকে আসামি করে ঘাটাইল থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এক নারীকে সঙ্গে নিয়ে ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় আমিনুলের আশুলিয়ার সংগঠনের কার্যালয়ে যান মোস্তাফিজ। তারা আমিনুলকে ডেকে নেয়ার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
মামলাটি প্রথমে ঘাটাইল থানার এসআই আবুল বাশার ও পরে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের এসআই দুলাল হোসেন ও অফিসার ইনচার্জ(ওসি) হুমায়ুন কবির তদন্ত করেন। সর্বশেষ সিআইডির ঢাকা মেট্রোপলিটনের কোতায়ালি ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল কবির তদন্তের দায়িত্ব পান এবং তদন্ত শেষে মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক এ রায় দেন।
সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, বিশেষ আদালতের পিপি মুলতান উদ্দিন ও আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী গোলাম মোস্তফা।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno