আজ- ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শনিবার  বিকাল ৫:০১

ষাটোর্ধ বৃদ্ধের হাতে ধর্ষিত হয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা

 

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রী ৬০ বছরের এক বৃদ্ধের হাতে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বার শিকার হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। ধর্ষক কালিহাতী উপজেলার গিলাবাড়ি গ্রামের ষাটোর্ধ বয়স্ক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আনছের আলী। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বয়স্ক লম্পট আনছের আলী ও তার ছেলে সুমন ধর্ষিতার গর্ভস্থিত অনাগত সন্তান নষ্ট করার জন্য ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর ও নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। অসুস্থ অবস্থায় ধর্ষিতা টাঙ্গাইলের মুন নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সরজমিনে জানা যায়, কালিহাতী উপজেলার গিলাবাড়ি গ্রামের মেয়ে ও নিকলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ওই ছাত্রী একই গ্রামের এজিপি’র সাবেক অডিট অফিসার আনছের আলীর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতো। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের বিনিময়ে ওই ছাত্রী পড়াশোনার ফাঁকে আনছের আলীর বাড়িতে কাজ করে দিত। আনছের আলীর স্ত্রী বেশিরভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করার একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর উপর কু-নজর পরে ষাটোর্ধ লম্পট আনছের আলীর। টাকা-পয়সা ও বিভিন্ন জিনিসপত্রের লোভ দেখিয়ে আনছের আলী ছাত্রীটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে নিজের অজান্তে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তারপরও ভয় দেখিয়ে নারীলোভী আনছের আলী নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যায়। কিছুদিন আগে পরিবারের লোকজন মেয়েটির শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখতে পায়। জিজ্ঞসাবাদে সে সব কিছু খুলে বলে। পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় অন্তঃসত্তার বিষয়টি ধরা পড়ে।
বিষয়টি আনছের আলী ও তার ছেলে সুমন জানার পর মেয়ের পরিবারকে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয়। এ নিয়ে মেয়েটির বাবা ওই মেয়েকে নিয়ে আনছের আলীর বাড়িতে গেলে কয়েক দফা তাদেরকে মারধর করা হয়। আনছের আলী স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক প্রভাবশালী হওয়ায় ধর্ষিতা ও তার বাবা নীরবে অত্যাচার সহ্য করে চলে আসে। এরই মধ্যে ধর্ষিতার গর্ভস্থিত অনাগত সন্তান নষ্ট করার জন্য আনছের আলী ও তার ছেলে সুমন ধর্ষিতা ও তার পরিবারকে ব্যাপক চাপ দেয় ।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার(২৬ মে) বিকালে ধর্ষিতার অনাগত সন্তানকে নষ্ট করতে টাঙ্গাইল শহরের মুন নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় গাইনী ডাক্তার মালেকা শফি মঞ্জু তা নষ্ট করতে অস্বীকৃতি জানান।
এ বিষয়ে ডা. মালেকা শফি মঞ্জু বলেন, শনিবার পেটের ব্যাথা নিয়ে মেয়েটি ক্লিনিকে আসে। পরীক্ষায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ধরা পড়ে। মেয়েটির পরিবার সন্তানটিকে নষ্ট করতে চাইলেও আমি তা করিনি।
মুন নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন ধর্ষিতা ওই কিশোরী জানায়, তাকে টাকা-পয়সা ও বিভিন্ন জিনিসপত্রের লোভ দেখিয়ে আনছের আলী নিয়মিত ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকির পাশাপাশি প্রায়ই মারধর করে। ছোট মানুষ হওয়ায় ছাত্রীটি কোন কিছু বুঝতে পারেনি।
ধর্ষিতার বাবা বলেন, আমার অবুঝ মেয়েটিকে লোভ দেখিয়ে আনছের আলী যে সর্বনাশ করেছে আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
এবিষয়ে কথা বলতে আনছের আলীর বাড়িতে গেলে তার এক প্রতিবেশি জানান, তিনি ঢাকায় আছেন। আনছের আলীর মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আনছের আলীর ছেলে সুমনের মোবাইলে ফোন দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি অশালীন বাক্য প্রয়োগ করে সংযোগ বিচ্ছন্ন করে দেন।
এ ব্যাপারে কালিহাতী থানা অফিসার ইনচার্জ মীর মোসারফ হোসেন বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা। এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি। আমরা অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno