আজ- ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  রাত ৮:৫৪

সমন্বিত উদ্যোগই সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ করতে পারে

 
প্রতীকী ছবি

দৃষ্টি নিউজ:

দেশে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ করতে হলে নীতির প্রশ্নে সব সাংবাদিককে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগই সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ করতে পারে। পাশাপাশি সাংবাদিকদের জন্য সহায়ক কর্মপরিবেশ তৈরিতে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন রয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টার মিলনায়তনে ‘মিডিয়া এনগেজমেন্ট অন মনিটরিং ইউপিআর আউটকাম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সভায় এ মন্তব্য করা হয়। সভা থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনে জাতীয় নির্বাচনের আগে দেয়া সরকারি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানানো হয়।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন আর্টিকেল নাইনটিন এ সভার আয়োজন করে। সভায় গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ প্রিণ্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও সাংবাদিক পর্যায়ের ২০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় সরকার গৃহীত ইউপিআর সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণের (মনিটরিং) একটি খসড়া কাঠামো (ফ্রেমওয়ার্ক) উপস্থাপন করা হয়।
সভায় সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, দেশে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে করতে হলে নীতির প্রশ্নে সব সাংবাদিককে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং পেশাগত দায়বদ্ধতার জায়গাটিও ঠিক রাখতে হবে।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সরকারেরও ভূমিকা রাখতে হবে। অভ্যন্তরীণ নিপীড়ন বন্ধে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় বিদ্যমান আইনগুলো মানা হচ্ছে তা সরকার মনিটর করতে পারে।
প্রথম আলোর যুগ্ম-সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, আগে মানহানির মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন বা জামিন লাভের সুযোগ একজন সংবাদকর্মীর ছিল। বর্তমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যেতে হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে সব সরকারের আমলেই সাংবাদিক-মানবাধিকার কর্মীরা বৈরী দৃষ্টিভঙ্গির শিকার হয়ে আসছেন।
সভায় সাংবাদিকরা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনে উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেছিল। সেই উদ্যোগ বাস্তবায়নে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তা সাংবাদিকদের জানানো প্রয়োজন।
সাংবাদিকরা আরও বলেন, নিজ প্রতিষ্ঠানে হয়রানি-নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধে সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে। সাংবাদিকদের মধ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডারের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সেলিম সামাদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সিনিয়র সাংবাদিক খায়রুজ্জমান কামাল, বিবিসি বাংলা’র প্রতিনিধি ফারহানা পারভীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে ফারুখ ফয়সল বলেন, নাগরিক সংগঠনগুলো সরকারের প্রতিপক্ষ নয়, সহযোগী। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ মানবাধিকারের বিভিন্ন ইস্যুতে সম্মিলিতভাবে কাজ করা সম্ভব।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে কাউকে পেছনে না রেখে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের কথা বলা হয়েছে। সেই সমাজে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ সব ধরনের মানবাধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এই লক্ষ্যে আর্টিকেল নাইনটিন সরকার, নাগরিক ও নাগরিক সংগঠনের মধ্যে ইতিবাচক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno