আজ- শুক্রবার | ৭ নভেম্বর, ২০২৫
২২ কার্তিক, ১৪৩২ | দুপুর ১:৩৪
৭ নভেম্বর, ২০২৫
২২ কার্তিক, ১৪৩২
৭ নভেম্বর, ২০২৫, ২২ কার্তিক, ১৪৩২

ধেয়ে আসছে সাইক্লোন ‘আম্ফান’

দৃষ্টি নিউজ:

বঙ্গোপসাগর থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড়টি খুলনা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। তবে আজ সোমবার(১৮ মে) নাগাদ জানা যাবে কোথায় আঘাত হানতে পারে। এ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন পানি সচিব কবির বিন আনোয়ার।

আসন্ন এ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা এবং করণীয় বিষয়ে রোববার(১৭ মে) দুপুরে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় পানি সচিব কবির বিন আনোয়ার জানান, ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে যা খুলনা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে আঘাত করতে পারে। তবে বায়ু প্রবাহের পরিবর্তনের ভিত্তিতে এটি উড়িষ্যা ও সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলেও আঘাত করতে পারে।

এ সময় কবির বিন আনোয়ার আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আজ সোমবার নাগাদ আঘাত হানার সম্ভাব্য স্থান নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে ঘূর্ণিঝড় আঘাত না হানলেও উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত ও উঁচু জোয়ারের সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের অনুরোধ করছি।

সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এএম আমিনুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্বাঞ্চল) মোহাম্মদ আলী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পশ্চিমাঞ্চল) মো. হাবীবুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঘূর্ণিঝড়ের দরুণ বাংলাদেশের খুলনা বিভাগীয় উপকূলীয় অঞ্চল অতি ঝুঁকিপূর্ণ, বরিশাল বিভাগীয় উপকূলীয় অঞ্চল মাঝারী ঝুঁকিপূর্ণ এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপকূলীয় অঞ্চল কম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর, ভারত আবহাওয়া অধিদফতর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভিত্তিক আবহাওয়া সংস্থা ইসিএমডব্লিউএফ ও যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আবহাওয়া সংস্থা নোয়া এর তথ্যানুসারে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ বাংলাদেশের পায়রা বন্দর থেকে ১২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে ভারতের তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে অবস্থান করছে।

ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বায়ুর সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮৮ কিলোমিটার/ঘণ্টা যা পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে এবং ২৪ ঘণ্টায় ধীরে উত্তর অভিমুখে অগ্রসর হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে দ্রুতগতিতে পশ্চিমবঙ্গ-দক্ষিণপশ্চিম বাংলাদেশ উপকূলীয় অঞ্চলের উপর দিয়ে ২০ মে সন্ধ্যায় অতিক্রম করতে পারে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বায়ুর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার থাকতে পারে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়