দৃষ্টি নিউজ:
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, আজকের আওয়ামী লীগ যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক সুসংহত, শক্তিশালী ও সচেতন; এবং যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম। দলের এই অবস্থাকে ধরে রাখতে হবে।
সেজন্য যারা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডের মাধ্যমে দলের সুনাম ক্ষুন্ন করছে- তাদেরকে দলের নেতৃত্বে আনা যাবে না। দলের বিপদে-আপদে সকল আন্দোলন সংগ্রামে যারা সামনে থাকবে তাদেরকে নেতা নির্বাচন করতে হবে- দলে জায়গা করে দিতে হবে। সোমবার(৬ জুন) টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে থাকা রাজাকার, আলবদর ও বিএনপি সহ স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি- যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল তারাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেক বার’ বলে স্লোগান দিচ্ছে।
তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, ’৭৫ সালে আমরা বুঝতে পারি নাই। বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসীম সাহসী, তাঁর হৃদয় ছিল আকাশের মতো উদার, সমুদ্রের মতো বিশাল। তিনি কিছু মানুষকে- কিছু কুচক্রীকে বিশ্বাস করেছিলেন। কিন্তু আজকের সুসংহত ও শক্তিশালী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যেকোন মূল্যে ওই অপশক্তির মূলোৎপাটন করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্বের নেত্রী- মানবতার নেত্রী। তাঁকে হত্যা করতে চাইলে এদেশের জনগণ ও বিশ্বের নির্যাতিত মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে পাশে দাঁড়াবে।
ভরা মৌসুমেও চালের দাম না কমা প্রসঙ্গে ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, করোনা, ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক বাজারে দামবৃদ্ধিসহ নানা কারণে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। শীঘ্রই চালের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
তিনি বলেন, কৃষিমন্ত্রী হিসেবে আমি বলতে চাই- এবছরও পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল উৎপাদন হয়েছে। দেশে খাদ্য নিয়ে কোন হাহাকার হবে না, খাদ্যের কোন সঙ্কট হবে না। আজকের দিন পর্যন্ত গত ১৪ বছরে আওয়ামীলীগের আমলে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায় নি- কোন মানুষ না খেয়ে থাকার কষ্ট করে নি। আমাদের যে সম্পদ রয়েছে, বৈদেশিক মূদ্রার যে রিজার্ভ রয়েছে- তাতে যে কোন পরিস্থিতি আমরা মোকাবেলা করতে পারব।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক। ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম লেবুর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম(ভিপি জোয়াহের) এমপি।
পরে শহিদুল ইসলাম লেবুকে সভাপতি ও আব্দুর রহিমকে সাধারণ সম্পাদক করে দীর্ঘ ২০ বছর পর ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।
প্রকাশ, এর আগে সর্বশেষ বিগত ২০০২ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিগত ২০০৫ সালে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
এরপর থেকে কয়েক দফায় আহ্বায়ক কমিটি পুনঃগঠন ও মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলেও সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি।