আজ- রবিবার | ১৬ নভেম্বর, ২০২৫
১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | সন্ধ্যা ৬:১৫
১৬ নভেম্বর, ২০২৫
১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২
১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

আদেশের দুই বছর পর বিধি লংঘন করে শিক্ষকের বদলী কার্যকর!

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে ঘাটাইল উপজেলায় বদলীর আদেশ পান সহকারী শিক্ষক জাহিদা নাসরিন।

আদেশের দীর্ঘ দুই বছর পর চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বদলী হন তিনি। কিন্তু যে বিধির কারণে এতোদিন বদলী আটকে ছিল- সেই বিধি লংঘন করেই তার বদলী কার্যকর করা হয়েছে।


ধনবাড়ী উপজেলার বাজিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহিদা নাসরিন ঘাটাইলে বদলী হওয়ার জন্য ২০২০ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন। ঘাটাইলে পদ শূন্য আছে কিনা জানতে চেয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে আবেদনের দুইদিন পর চিঠি দেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

ঘাটাইলের গুণদত্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদ শূন্য আছে জানিয়ে চিঠির দেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। এরপর ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি জাহিদা নাসরিনকে ধনবাড়ী থেকে ঘাটাইলের ওই বিদ্যালয়ে বদলীর আদেশ দেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল আজিজ।


বদলীর নথিপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জেলা থেকে যে বদলীর আদেশ দেওয়া হয়েছিল তা ছিল প্রয়োজনীয় প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে। অর্থাৎ তার শূন্যস্থান আগে পূরণ করে তারপর জাহিদা নাসরিনের বদলি কার্যকর করা যাবে। কারণ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বদলির নীতিমালা অনুযায়ী চার শিক্ষকের কোনো বিদ্যালয় থেকে প্রতিস্থাপন ব্যতীত কাউকে বদলী করা যায় না।

কিন্তু জাহিদা নাসরিনকে যখন বদলী করা হয় তখন বাজিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক ছিলেন চারজন। তাকে বদলি করায় বর্তমানে সেখানে শিক্ষক আছেন মাত্র তিনজন। নীতিমালা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট উপজেলার শিক্ষা অফিসার ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোনোভাবেই জাহিদা নাসরিনকে অব্যহতি পত্র (রিলিজ লেটার) দিতে পারেন না।


বাজিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেসুর রহমান বলেন, শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ে ১২০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে তিনিসহ মাত্র তিনজন শিক্ষক রয়েছেন। তার অভিযোগ প্রতিস্থাপন না করেই রিলিজ লেটার নিয়ে ঘাটাইল চলে গেছেন বদলীকৃত শিক্ষক জাহিদা নাসরিন।


শিক্ষক জাহিদা নাসরিনের বদলীর ক্ষেত্রে প্রতিস্থাপন নীতি মানা হয়েছে কি?- এমন প্রশ্নের উত্তরে ধনবাড়ী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে তাকে রিলিজ লেটার দেওয়া হয়েছে।


ঘাটাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, ধনবাড়ী শিক্ষা কর্মকর্তার দেওয়া রিলিজ লেটার হাতে পেয়েই ওই শিক্ষকে যোগদানের অনুমোতি দেওয়া হয়েছে।


টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে সদ্য যোগদানকারী মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ঘটনায় অবশ্যই প্রতিস্থাপন নীতি লংঘন করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হবে। খতিয়ে দেখে এ কাজে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়