আজ- বৃহস্পতিবার | ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
৯ মাঘ, ১৪৩১ | রাত ১০:৫২
২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
৯ মাঘ, ১৪৩১
২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯ মাঘ, ১৪৩১

আলোচিত কলেজ ছাত্রী রূপা হত্যা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ঢাকার আইডিয়াল ‘ল’ কলেজের শিক্ষার্থী রূপা প্রামণিককে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার তদন্ত শেষে পাঁচ পরিবহণ শ্রমিকের বিরুদ্ধে রোববার(১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আদালতে অভিযোগপত্র(চার্জশীট) দাখিল করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ৫০ দিন পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুপুরের অরণখোলা ফাঁড়ির পরিদর্শক কাইয়ুম খান সিদ্দিকী টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে এ চার্জশীট দাখিল করেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ছোঁয়া পরিবহণের সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীর (৫৫) বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধিত ২০০৩) ৯ এর ৩ ধারায় গণধর্ষণের অভিযোগ এবং দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যার অভিযোগ, ২০১ ধারায় লাশ গুমের অভিযোগ এবং ৩৪ ধারায় সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। চার্জশীটে ৩২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এদের মধ্যে পুলিশ, চিকিৎসকসহ পাঁচ/ছয়জন সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন।
গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপা প্রামণিককে চলন্ত বাসে পরিবহণ শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যার পর টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
প্রকাশ, রূপাকে হত্যার পর ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটে চলাচলকারী ছোঁয়া পরিবহণের শ্রমিকরা স্বাভাবিক ছিলেন। ঘটনার পরদিন থেকেই তারা স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। রূপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহণের চালক হাবিবুর, সুপারভাইজার সফর আলী এবং সহকারী শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছে তারা রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছে। ৩১ আগস্ট রূপার লাশ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তাঁরাইশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।
গত ১২ সেপ্টেম্বর ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সাইফুর রহমান খান ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জমা দেন। এতে তিনি উল্লে¬খ করেন, মাথায় আঘাত জনিত কারণে রূপার মৃত্যু হয় এবং মৃত্যু আগে রূপাকে ধর্ষণ করা হয়।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়