
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে তিন দিন পর ঘরে বসবাস করার সুযোগ পেল খন্দকার নুরুন্নাহার(৬৫) নামে এক বৃদ্ধা ও তার মেয়ে। বুধবার(২৪ জুলাই) দুপুরে পৌর এলাকার সন্তোষ বাগবাড়ী এলাকায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলামের হতক্ষেপে তালা ভেঙে তাদের ঘর ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়া হয়। এর আগে ২০ জুলাই তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দেয় ওই বৃদ্ধার ছেলে আনোয়ার হোসেন কাইয়ুম ও তার স্ত্রী।
খন্দকার নুরুন্নাহার বলেন, আমার মেঝ মেয়ে ফরিদা খন্দকারের সাথে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধের বিয়ে ঠিক করে সৎ ছেলে আনোয়ার হোসেন কাইয়ুম। কিন্তু মেয়ে রাজি না হওয়ায় আনোয়ার হোসেন কাইয়ুম তার চাচাত বোন শিউলি খন্দকারের আকুর টাকুর বটতলা বাসায় নিয়ে ওই মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। এতে খন্দকার নুরুন্নাহার প্রতিবাদ করলে তাকেসহ মেঝ মেয়ে ফরিদা খন্দকার ও প্রতিবন্ধী ছোট মেয়ে ফেরদৌস খন্দকারকে সন্তোষের বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে ঘরে ও বাইরে তালা ঝুঁলিয়ে দেয়। বিষয়টি এলাকার মাতব্বর ও এলাকাবাসী সমাধান করতে গেলে তারা ব্যর্থ হয়। পরে তারা গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন।
অভিযোগ পেয়ে বুধবার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম আর্মস ব্যাটালিয়ন পুলিশের সহযোগিতায় ওই বাড়িতে গিয়ে ছেলে ও পুত্রবধূকে না পেয়ে ঘরের তালা ভেঙে মা-মেয়েকে ঘর ব্যবহারের সুযোগ করে দেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, নিজের ঘর থেকে নুরুন্নাহার ও তার মেয়েকে বের করে তালা ঝুঁলিয়ে সৎ ছেলে ঢাকায় চলে যায়। পরে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে তালা ভেঙে তাদেরকে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করার ব্যবস্থা করি।
