আজ- সোমবার | ১৭ নভেম্বর, ২০২৫
২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | রাত ১:০১
১৭ নভেম্বর, ২০২৫
২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২
১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

উচ্চাভিলাষী বাজেট ২০১৭-১৮

দৃষ্টি নিউজ:

budget_48483_1496259226
জনগণকে তুষ্ট করতে ব্যাপক উন্নয়ন দরকার। আর এ উন্নয়ন সফল করতে প্রয়োজন বিশাল অঙ্কের রাজস্ব আয়। অর্থমন্ত্রীর ভাষায়, ‘চাপাচাপি যা করার এ বাজেটেই করা যাবে। এর পরের বাজেটে থাকবে নির্বাচনী হাওয়া।’ জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের জন্য এটি হচ্ছে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। এ অবস্থায় অর্থমন্ত্রীর ‘চাপাচাপির’ ব্যাখ্যা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য মেলাতে অর্থমন্ত্রীকে নতুন বছরে কঠোর হতেই হবে। বাড়তি রাজস্ব আয়ের জন্য বিদ্যমান করের আওতা সম্প্রসারণসহ নতুন নতুন খাত থেকে কর আদায় বাড়াতে হবে।
এজন্য অর্থমন্ত্রীর সামনে একটাই পথ- বিতর্কিত নতুন ভ্যাট আইন ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা। এটি অর্থমন্ত্রীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এ আইনটি বাস্তবায়ন হলে জনগণের ওপর করের বোঝা ব্যাপক বাড়বে। দ্রব্যমূল্যের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়বে। এতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা থাকবে। এছাড়া সবচেয়ে বড় যে প্রভাব, তা পড়বে স্থানীয় উৎপাদনমুখী শিল্পের ওপর। আমদানি পণ্যের কাছে দেশীয় পণ্য মার খাবে। সব মিলিয়ে এসব আশঙ্কা আর ঝুঁকি মাথায় নিয়েই উচ্চাভিলাষী বাজেট প্রণয়ন করেছেন অর্থমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার(১ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার উচ্চাভিলাষী এক বাজেট পেশ করতে যচ্ছেন অর্থমন্ত্রী, যা চলতি বাজেটের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। দুপুর দেড়টায় অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত এ বাজেট উপস্থাপন করবেন। এটি হবে অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিতের একাধারে ৯ বার বাজেট উপস্থাপন। এছাড়া বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের চতুর্থ এবং অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ১১তম বাজেট। এতে অর্থ সংস্থানের জন্য সম্প্রসারণমূলক কর পরিধি ও নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নসহ রাজস্ব আদায় বাড়াতে থাকছে নানামুখী পদক্ষেপ।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুযায়ী, প্রস্তাবিত এ বাজেটের সম্ভাব্য আকার হচ্ছে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। এতে মোট রাজস্ব আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে কর রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ হচ্ছে ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৪ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে এনবিআর থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৩৬ হাজার ২০ কোটি টাকা। এ ছাড়া কর ব্যতীত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ২৭ হাজার কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের কর রাজস্ব ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা এবং নন এনবিআর করের লক্ষ্য ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কর ব্যতীত প্রাপ্য হচ্ছে ২৪ হাজার কোটি টাকা।
আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকরের ঘোষণা থাকছে বাজেটে। পাশাপাশি ভ্যাট অব্যাহতির বিদ্যমান সীমা ৩০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩৬ লাখ টাকা এবং টার্নওভারের সীমা ৮০ লাখ থেকে বাড়িয়ে দেড় কোটি টাকা করা হচ্ছে। এছাড়া টার্নওভার ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করা হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের জন্য থাকছে বিশেষ বরাদ্দ।
অর্থমন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের সর্বনিন্ম আয়কর সীমার পরিমাণ বাড়ছে। বিদ্যমান আড়াই লাখ টাকা থেকে পৌনে ৩ লাখ টাকা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে শেয়ারবাজারের জন্য কিছুটা কমলেও সার্বিকভাবে কর্পোরেট ট্যাক্স হারে পরিবর্তন হচ্ছে না। এ ছাড়া নতুন ভ্যাট আইন সংশোধন করে সম্পূরক শুল্কহারে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। যদিও নতুন ভ্যাট আইনে ১৭০টি আমদানি পণ্য ছাড়া ১ হাজার ১৯২ পণ্য থেকে সম্পূরক শুল্ক বিলুপ্তের বিধান রয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রাজস্ব কাঠামো নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন। এ অবস্থায় প্রস্তাবিত বাজেটে ৭ শতাধিক পণ্যে সম্পূরক শুল্কহারে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব থাকছে।
অপরদিকে, প্রস্তাবিত বাজেটে অনুন্নয়ন ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা, যা জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ১১ দশমিক ১ শতাংশ। এর মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা খাতে ৫২ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা, ভর্তুকি খাতে ২৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, ঋণের সুদ পরিশোধে ৪২ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা এবং সরবরাহ ও সেবায় ব্যয় হবে ২৫ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে অনুন্নয়ন ব্যয় ধরা হয় ২ লাখ ৬ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা। এ হিসাবে অনুন্নয়ন খাতে ব্যয় বাড়বে ৪০ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা।
তবে ভর্তুকি ও প্রণোদনায় বরাদ্দের মধ্যে খাদ্য খাতে ৪ হাজার কোটি টাকা ও অন্যান্য খাতে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, প্রণোদনা বাবদ কৃষি খাতে ৯ হাজার কোটি টাকা, রফতানিতে ৪ হাজার কোটি টাকা ও পাটজাত দ্রব্যে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) অনুকূলে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাতে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে। এ ছাড়া আগামী বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে আয় ও ব্যয়ের হিসাব মেলাতে বড় অঙ্কের ঘাটতি থাকছে। এ ঘাটতির সম্ভাব্য পরিমাণ হচ্ছে ১ লাখ ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে ব্যাংক থেকে প্রায় ৪৯ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ নেয়ার সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৫৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। আর অনুদান পাওয়া যাবে ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সবচেয়ে বেশি আলোচিত ও কঠিন মনে হয়েছে নতুন ভ্যাট আইন। আগামী বাজেটে ১৫ শতাংশ থাকছে ভ্যাটের হার। এবার মানবসম্পদের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। দেশে কিছু অবহেলিত অঞ্চলকে বাজেটে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে। প্রতিবন্ধীদের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কৃষি খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়বে। সংখ্যালগুদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এর পরে হবে (২০১৮-১৯) নির্বাচনী বাজেট। সেখানে নতুন কিছু থাকবে না। যা কিছু হবে এ বাজেটে। পরবর্তী বাজেটে করের হার বাড়ানোর চিন্তা কম থাকবে। আমার দৃষ্টিতে এটি হবে আমার দেয়া সবচেয়ে ভালো বাজেট।
আগামী বাজেটে টাকার অঙ্কে জিডিপির আকার ঠিক করা হয়েছে ২২ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। এতে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এ প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২ শতাংশ। পণ্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ থাকবে- এমন পূর্বাভাস দিয়েই ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার চেষ্টা থাকছে বাজেটে।
এ ছাড়া আগামী বছর অগ্রাধিকার পাচ্ছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সড়ক, রেলপথ, কৃষি, পল্লী উন্নয়ন, কর্মসৃজন, বন্দরের সার্বিক ভৌতকাঠামো উন্নয়ন, সরকারি সেবায় তথ্যপ্রযুক্তি বাড়ানো, জলবায়ু মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জন, প্রবাস আয় বৃদ্ধি ও নতুন নতুন রফতানির বাজার সৃষ্টি।
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ সুবিধার ঘোষণা আসছে। প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে দেয়া হবে বছরে দুটি উৎস বোনাস। আর্থিক দিক থেকে প্রতিটি বোনাসের পরিমাণ হবে এক মাসের মুক্তিযোদ্ধা ভাতার সমান (১০ হাজার টাকা)। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা ভাতার আওতায় নতুন করে আরও ২০ হাজার জনকে আনা হচ্ছে। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে সম্ভাব্য বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ১০০ কোটি টাকা।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৫৬ লাখ গরিব মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে ৫২ লাখ ২৮ হাজার মানুষ এ সুবিধা পাচ্ছেন। এ কর্মসূচির ৯টি খাতে সম্ভাব্য বরাদ্দ থাকছে ৭ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা।
সূত্রমতে, ১ হাজার ৫০০ সিসির স্ল্যাব ভেঙে ১ হাজার সিসির নতুন স্ল্যাব করা হচ্ছে। এই গাড়ির ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক থাকছে। আগে এসব গাড়ি আমদানিতে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক দিতে হতো। এ ছাড়া ২ হাজার ১ সিসি থেকে ২ হাজার ৭৫০ সিসি পর্যন্ত সম্পূরক শুল্ক ২০০ থেকে ২৫০ শতাংশ বাড়ছে। গণপরিবহনে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ থেকে ৩০ হচ্ছে। দুই স্ট্রোকবিশিষ্ট অটোরিকশা, থ্রি হুইলারের ইঞ্জিন, চার স্টোক অটোরিকশা, থ্রি হুইলারের ইঞ্জিনের ওপর শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া ধূমপানে নিরুৎসাহিত করতে সিগারেটের খুচরা মূল্য ও সম্পূরক শুল্কহার বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বিভিন্ন মানের সিগারেটের মূল্যস্তর বাড়ানো হয়েছে। এতে সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়বে। নিন্মমানের সিগারেটের মূল্যস্তর ২৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে দেশীয় কোম্পানির ক্ষেত্রে ২৭ টাকা এবং বিদেশি কোম্পানির জন্যে ৩৫ টাকা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সম্পূরক শুল্কের পরিমাণ ৫০ শতাংশ থেকে যথাক্রমে ৫২ ও ৫৫ শতাংশ করা হচ্ছে। পাশাপাশি সিসি অনুযায়ী মোটরগাড়ি, মাইক্রোবাস, তৈরি ও বিযুক্ত মোটরসাইকেলসহ নতুন ও ব্যবহৃত যানবাহনে নতুন ভ্যাট আইনে শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। এনার্জি ড্রিংক, কোমল পানীয়, ফলের রস, তামাকযুক্ত সিগারেট, জর্দা, গুল, সিগারেট পেপার, বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী, সিরামিক সামগ্রীসহ ৩১টি এইচএসকোডযুক্ত পণ্যে সরবরাহ পর্যায়ে বিভিন্ন হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব থাকছে। পাশাপাশি হোটেল ও রেস্তোরাঁ, টেলিফোন, সিমকার্ড (রিপ্লেসমেন্টসহ) সরবরাহকারী, বিদেশি শিল্পীদের বিনোদনমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজক, স্যাটেলাইট চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউটরসহ বিভিন্ন সেবা খাতেও সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হচ্ছে।
বর্তমানে ব্যাংক হিসাব এবং বিমানের টিকিটে যথাক্রমে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা এবং ১ হাজার ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক নির্ধারিত আছে। এনবিআরের নতুন প্রস্তাবে ৫ কোটি ১ টাকা থেকে তদূর্ধ্ব পরিমাণের ব্যাংক ডিপোজিটের বিপরীতে ৩০ হাজার টাকা এবং আন্তর্জাতিক বিমান টিকিটের বিপরীতে ৩ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক বসানো হচ্ছে।
সূত্রমতে, চলতি অর্থবছরে ভ্যাট, স্থানীয় পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক, আবগারি শুল্ক এবং টার্নওভার কর আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৬৬ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাত থেকে আয় ধরা হচ্ছে ৮৭ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা, যা চলতি বছরের তুলনায় ৩৩ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নতুন ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এর ব্যাপক পরিবর্তন এবং সংশোধন করার ঘোষণা দেয়া হবে বাজেটে।
জানা গেছে, প্রতিবারের মতো এবারও ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থাৎ পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করা হবে। অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে www.mof.gov.bd বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবেন।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়