দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি টাঙ্গইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে সোমবার(২৪ এপ্রিল) আদালতে হাজির না করায় অভিযোগ গঠনের শুনানি আবার পিছিয়েছে। এ নিয়ে ছয় বার অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম খান জানান, প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ এর বিচারক আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে সোমবার অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ আদালতকে জানায়, এমপি রানা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে হাজির করতে পারেনি। তিনি বুকে ব্যাথা ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। এ কারণে তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি। পরে আদালত অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ১২ জুন পরবর্তী নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।
এর আগে ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ও ৯ নভেম্বর এবং চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি, ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ মার্চ তাঁকে আদালতে হাজির করতে না পারায় এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পেছানো হয়।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর এমপি রানা গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।
বিগত ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ টাঙ্গাইলে তার কলেজ পাড়া এলাকায় বাসার সামনে পাওয়া যায়। ঘটনার তিন দিন পর নিহতের স্ত্রী নাহার আহমদ টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত শুরু করে। বিগত ২০১৪ সালের আগস্টে এ মামলার আসামি আনিসুল ইসলাম ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ আলী গ্রেপ্তার হন। আদালতে তাদের স্বীকারোক্তিতে এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইয়ের জড়িত থাকার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এরপর থেকে আমানুর ও তার ভাইয়েরা আত্মগোপনে চলে যান।
গত বছর ৩ ফেব্রুয়ারি এমপি রানা, তার তিন ভাই জাহিদুর রহমান খান কাকন, সহিদুর রহমান খান মুক্তি ও সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। গত ৬ এপ্রিল আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে।