দৃষ্টি নিউজ:
দেশের অন্যতম সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও কবি সাযযাদ কাদির আর নেই। বৃহস্পিতবার(৬ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান(ইন্নালিল্লাহি……..রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। কবির ছেলে সাদ্দাম কাদির তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিকাল ৫টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তাঁর জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
সাযযাদ কাদির ১৯৪৭ সালের ১৪ এপ্রিল টাঙ্গাইল জেলার মিরের বেতকা গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলা সাহিত্যের ষাটের দশকের অন্যতম কবি, গবেষক, অনুবাদক ও প্রাবন্ধিক হিসেবে সমধিক পরিচিত। সাযযাদ কাদির ১৯৬২ সালে বিন্দুবাসিনী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ১৯৬৯ সালে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৭০ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে তিনি টাঙ্গাইলের করটিয়ার সা’দত কলেজ-এর বাংলা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৬ সালে তিনি কলেজের চাকরি ছেড়ে সাপ্তাহিক ‘বিচিত্রা’ পত্রিকায় যোগদানের মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন। সাযযাদ কাদির একাধারে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধ লিখেছেন। গবেষণা, শিশুতোষ, সম্পাদনা, সংকলন, অনুবাদসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৬০টির বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি।
তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- যথেচ্ছ ধ্রুপদ (১৯৭০), চন্দনে মৃগপদচিহ্ন (১৯৭৬), লাভ স্টোরি (১৯৭৭), রাজরূপসী, প্রেমপাঁচালী, হারেমের কাহিনী, অপর বেলায়, নারীঘটিত (২০১২), খেই (২০১২), বৃষ্টিবিলীন, অন্তর্জাল (২০০৮), রবীন্দ্রনাথ : শান্তিনিকেতন (২০১২), রবীন্দ্রনাথ : মানুষটি (২০১২)।
টাঙ্গাইলের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন সহ নানা শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছে।মরহুমের জানাযা নামাজ অাগামীকাল শুক্রবার(৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছে।