আজ- সোমবার | ১৭ মার্চ, ২০২৫
৩ চৈত্র, ১৪৩১ | বিকাল ৪:৫৪
১৭ মার্চ, ২০২৫
৩ চৈত্র, ১৪৩১
১৭ মার্চ, ২০২৫, ৩ চৈত্র, ১৪৩১

কামারশালায় পুড়ছে কয়লা- জ্বলছে লোহা

দৃষ্টি নিউজ:

পবিত্র ঈদুল আযহা সমাগত। ঈদকে ঘিরে টাঙ্গাইলের কামারশালায় পুড়ছে কয়লা, জ্বলছে লোহা। টাঙ্গাইলের কামারশালা দিনরাত লোহা-হাতুড়ির টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে ওঠেছে। হাতুড়ির আঘাতে তৈরি হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনে কাজের উপযুক্ত দ্রব্য সামগ্রী- দা, বটি, চাকু, কুড়াল, ছুরি, চাপাতিসহ ধারালো সব যন্ত্রপাতি।

মাত্র দু’দিন পরই উদযাপিত হবে মুসলিম উম্মাহর অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে টুং টাং আওয়াজে তাই ব্যস্ত সময় পাড় করছেন টাঙ্গাইলের কামাররা। সারা বছর কাজ সীমিত থাকলেও কোরবানির ঈদের সময় কামারশালায় বেড়ে যায় কর্মব্যস্ততা।

টাঙ্গাইল শহরের পার্ক বাজারে দা-ছুরি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাকু প্রতি পিস ৫০-১৫০ টাকা, দা ৪০০-৬০০ টাকা, চাপাতি ৬০০-৮০০ টাকা, ছুরি ৮০০-১৫০০টাকা এবং বটি ৩০০-৬০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও পুরনো যন্ত্রপাতি শান দিতে গুনতে হচ্ছে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। শহর ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একটানা কজ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার কামাররা।
কামারশালার কারিগর ঝানু বলেন, স্বাভাবিকভাবেই কোরবানি ঈদ এলে আমাদের কাজের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। এসময় সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা-১টা পর্যন্ত একটানা কাজ করতে হয়। ক্রেতাদেরও কমতি থাকে না। একটু বেশি আয়ের লক্ষে দিনরাত এমন পরিশ্রম করতে হয় বলেও জানান তিনি।

শহরের দা-ছুরি দোকানের কর্মচারি কমল কর্মকার জানান, আসছে কোরবানির ঈদ, তাই অনেক ব্যস্ত। কিন্তু সারাবছর স্বল্প আয়ে আমরা কীভাবে পরিবার নিয়ে চলি- তা জানার কেউ নেই। ‘সারাদিনে মহাজনের পাঁচশ’ টাকা রুজি হলে আমরা তা থেকে কত টাকাই বা পেয়ে থাকি’- বলেও দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

গরু কোরবানির জন্য চাকু কিনতে আসা মারুফ সরোয়ার বলেন, কোরবানির জন্য ভালো দেখে একটা ছুরি কিনলাম। অন্য সময়ের তুলনায় দাম একটু বেশি রাখছেন কামাররা বলেন তিনি।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়