দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সিলিমপুর উত্তরপাড়া সেনবাড়ী সার্বজনীন কালী মন্দিরের তালা ভেঙে বুধবার(১৩ নভেম্বর) ভোর রাতে ৬টি প্রতিমা ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এরমধ্যে তিনটি প্রতিমার মাথা কেটে ফেলে রেখে যায় এবং তিনটির মাথা নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
মন্দির কমিটির সভাপতি প্রতিশ চন্দ্র সেন বলেন, ভোরে ঘুম থেকে উঠে মন্দিরের সামনে এসে দেখি কে বা কারা মন্দিরের ভেতরে থাকা মূর্তিগুলোর মাথা কেটে ফেলে রেখেছে এবং মাথা নিয়েও গেছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
এদিকে, মন্দির ভেঙে প্রতিমা ভাংচুরের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। একইসাথে তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারি, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী বিকম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আরা নীপা, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুদীপ কুমার দত্ত মানু, সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ চন্দ্র সাহা সহ হিন্দু সমাজের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কালিহাতী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ চন্দ্র সাহা বলেন, সুরক্ষিত মন্দিরের তালা ভেঙে প্রতিমা ভাংচুর অত্যন্ত গর্হিত কাজ। এরআগে ২০১৪ সালে এ এলাকার চাটিপাড়া গ্রামে মন্দির ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। তখন ওই ঘটনার কোন সুরাহা হয়নি। আমরা এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যাতে ভবিষ্যতে কেউ মন্দির কিংবা প্রতিমা ভাঙার সাহস না পায়।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম ও জেলা পুলিশ সুপার রঞ্জিত কুমার রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, দুস্কৃতকারীরা রাতের অন্ধকারে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। খুব দ্রুত এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী এমপি বলেন, কালিহাতী উপজেলায় হিন্দু-মুসলিম একসাথে মিলে-মিশে বসবাস করি। কোন গোষ্ঠী বা চক্র পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।
