আজ- শনিবার | ২২ মার্চ, ২০২৫
৮ চৈত্র, ১৪৩১ | সকাল ৯:০০
২২ মার্চ, ২০২৫
৮ চৈত্র, ১৪৩১
২২ মার্চ, ২০২৫, ৮ চৈত্র, ১৪৩১

কালিহাতীতে তিন গ্রামের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

কালিহাতী প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার মুলিয়া, সহদেবপুর ও সাকরাইল গ্রামে সালিশি বৈঠকে পক্ষপাতিত্বের জেরে সংঘর্ষ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার(৪ মার্চ) বিকালে কালিহাতী উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

 

 

 

 

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভিপি রফিক বলেন, তিন গ্রামের সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে স্থানীয় বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি ওইসব অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

ভিপি রফিক বলেন, উপজেলা বিএনপির বিরুদ্ধে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সকল ষড়যন্ত্রের মূলোৎপাটন করে উপজেলা বিএনপি জনগণের অধিকার রক্ষায় সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশে উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কালিহাতী উপজেলা বিএনপি অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি জনসম্পৃক্ত হয়ে গণমানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ওই সংবাদ সম্মেলনে কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম শোভা, পৌর বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শহিদুর রহমান সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুল তৌহিদ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক মোশারফ হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন মোল্লা, যুগ্ম-আহ্বায়ক লুৎফর রহমান লেলিন, ইদ্রিস আলী, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ, যুগ্ম-সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন, বাংড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুলতান গিয়াস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার(২৮ ফেব্রুয়ারি) বাংড়া ইউনিয়নের ‘পীরসাব’ বাড়িতে একই ইউনিয়নের মুলিয়া ও সাকরাইল গ্রামের লোকজনদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি মীমাংসা করতে সোমবার(৩ মার্চ) দুপুরে একটি সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

 

 

 

 

 

 

 

সালিশি বৈঠকে জনৈক মাতব্বরের পক্ষপাতিত্বমূলক বক্তব্যের এক পর্যায়ে মুলিয়া, সহদেবপুর ও সাকরাইল গ্রামের মানুষেরা সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৫-২০ জন আহত এবং শোলাকুড়া বাজারের ১৮-২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়।

 

 

 

 

 

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়