আজ- বৃহস্পতিবার | ১৩ নভেম্বর, ২০২৫
২৮ কার্তিক, ১৪৩২ | বিকাল ৫:২৪
১৩ নভেম্বর, ২০২৫
২৮ কার্তিক, ১৪৩২
১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ২৮ কার্তিক, ১৪৩২

কালিহাতীতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৪ ॥ দোকানে আগুন

দৃষ্টি নিউজ:

dristy.tv-29টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পুরাতন রামপুর গ্রামে প্রতিবেশি প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলা সহ চারজন আহত হয়েছেন। সোমবার(৩ জুলাই) দুপুরে পুরাতন রামপুর হাটিপাড়া ব্রিজপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছেন, ওই গ্রামের অঅ. ওয়ারেছ ওরফে কেরু’র মেয়ে মনোয়ারা বেগম(২৫), আ. ওয়ারেছ ওরফে কেরু(৪৮), মো. মোতালেব হোসেন মোতার স্ত্রী আলেয়া বেগম(৪৫) ও তার ছেলে টাঙ্গাইল শহরের মে.জে.(অব.) মাহমুদুল হাসান মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষাথী তুহীন(২২)। তাদের মধ্যে মনোয়ারা বেগমকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানায়, স্থানীয় মৃত অছুম উদ্দিনের ছেলে মো. মোতালেব হোসেন মোতার সাথে প্রতিবেশি আব্বাছ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম শফিদের মধ্যে নানা ছোটখাট বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধ মিাংসায় একাধিকবার গ্রাম্য সালিশও হয়েছে। রোববার(২ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে মোতালেব হোসেনের বাড়ির পাশে মুদি দোকানে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পানি ও বালি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। কিন্তু প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
মো. মোতালেব হোসেন মোতা জানান, তার প্রতিবেশি শফিকুল ইসলাম শফি(৪০), তার ভাই সেন্টু মিয়া(৩৫), বাদশা মিয়ার ছেলে রাকিব(২২), মৃত সিদ্দিক হোসেনের ছেলে লুৎফর মিয়া(৪৮) ও লুৎফর মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া(২৩) পরস্পর যোগসাজসে দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ প্রথমে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হতে চায়। পরে ওসির নির্দেশে এসআই মানিক চন্দ্র দে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে থানায় ফেরার পর সোমবার(৩ জুলাই) দুপুর দুইটার দিকে উল্লেখিত ব্যক্তিরা মোতালেব হোসেন মোতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে মহিলাসহ সবাইকে মারপিট করে এবং বাড়ি-ঘরে ভাংচুর চালায়।
শফিকুল ইসলাম শফি জানান, তিনি বা তার কোন লোক ওই ঘটনার সাথে জড়িত নন। মোতালেব হোসেন মোতা থানায় মামলা করে গেছে খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে সামান্য তর্কবিতর্ক হয়েছে। কোন মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। পূর্বশত্রুতার কারণে তাদের কথা বলা হচ্ছে- এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
বল্লা ইউপি চেয়ারম্যান হাজী চান মাহমুদ পাকির জানান, আগুন দেওয়ার ঘটনাটি কে ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে বের করা দরকার। দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধের সুযোগে তৃতীয়পক্ষও ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
কালিহাতী থানার এসআই মানিক চন্দ্র দে জানান, তিনি আগুনের ঘটনাটি সরেজমিনে দেখেছেন। একটি টং দোকানের আংশিক পুড়েছে, তেমন বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পরে মারপিটের ঘটনাটিও তিনি তদন্ত করে দেখবেন। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়