আজ- সোমবার | ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
৪ ফাল্গুন, ১৪৩১ | রাত ১২:২৫
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
৪ ফাল্গুন, ১৪৩১
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪ ফাল্গুন, ১৪৩১

‘খান পরিবারের ভাইদের পরিকল্পনা ও নির্দেশে চাঞ্চল্যকর ফারুক হত্যাকাণ্ড’

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন জনপ্রিয় নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি) সাবেক অফিসার ইনচার্জ অশোক কুমার সিংহ সোমবার(১১ নভেম্বর) আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

তিনি আদালতকে বলেছেন, গ্রেপ্তার করা দুই আসামির ও প্রত্যক্ষদর্শী তিন সাক্ষীর আদালতে দেওয়া জবানবন্দি ও অন্যান্য আলামত থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ হয়- আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ও তাঁর তিনভাইয়ের পরিকল্পনা ও নির্দেশে ওই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। আমানুর রহমান খান রানা টাঙ্গাইল শহরের কথিত প্রভাবশালী ‘খান পরিবারের’ বড় ভাই। তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে জেলার চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার সাক্ষী গ্রহণের পর্ব শেষ হলো।

 

 

 

 

 

 

 

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অশোক কুমার সিংহ বলেন, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহমুদুল হাসানের আদালতে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ চলে। পরে আধা ঘণ্টা বিরতি দিয়ে আবার বেলা তিনটা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সাক্ষ্যদানের সময় তিনি আদালতকে জানান, ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি তিনি মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তদন্তকালে তিনি বিভিন্ন উৎস থেকে জানতে পারেন, এ হত্যার সঙ্গে শহরের কলেজপাড়ার আনিসুল ইসলাম ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ আলী জড়িত থাকতে পারেন। তাঁদের গ্রেপ্তার করলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে এই হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা তারা স্বীকার করেন। পরে তাঁরা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তাঁদের জবানবন্দিতে টাঙ্গাইল-৩(ঘাটাইল) আসনের আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান, তাঁর ভাই পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার পরিকল্পনা ও নির্দেশে এই হত্যাকা- সংঘটিত হওয়ার বিষয়টি বের হয়ে আসে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওয়াহেদ, আব্দুল খালেক ও সনি আদালতে জবানবন্দি দেন। তাঁদের জবানবন্দিতেও হত্যার বর্ণনা উঠে আসে। অশোক কুমার সিংহ সাক্ষ্য দেওয়ার পর আসামিদের আইনজীবীরা তাঁকে দীর্ঘ সময় ধরে জেরা করেন।

 

 

 

 

 

 

 

টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান জানান, এখন বাদি ও আসামি উভয় পক্ষের যুক্তিতর্কের পর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

 

 

 

 

 

 

এর আগে মামলার তদন্তের শেষ পর্যায়ে অশোক কুমার সিংহ পদোন্নতি পেয়ে টাঙ্গাইল থেকে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। পরে গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি) অফিসার ইনচার্জ গোলাম মাহফীজুর রহমান ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁর অপর তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ হত্যা মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। বাদিপক্ষের অভিযোগ- মামলার ২৬ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ অনেক আগেই করা হয়। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ এলেই কারাগারে থাকা আসামিরা অসুস্থতাসহ নানা অজুহাতে আদালতে আসতেন না। তাঁদের সময়ক্ষেপণের কারণে বিচারের প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছিল।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তাঁর কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

 

২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এ হত্যাকাণ্ডে আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁর ভাইদের নাম বের হয়ে আসে।

 

 

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়