দৃষ্টি নিউজ:
কেন্দ্রীয় গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক ও উচ্চতর সদস্য শাকিলউজ্জামান শাকিল বলেছেন, রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার করতে যে সময়টুকু প্রয়োজন- গণঅধিকার পরিষদ সেসময়টুকু অন্তর্বর্তী সরকারকে দিতে চায়। আমরা ছাত্র-জনতার সাথে মিলে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছি। সেহেতু আপনারা যেসমস্ত সংস্কার করছেন সেগুলো সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করলে আরেকটু ভালো হয়। যে সংস্কারগুলো রাষ্ট্রের মৌলিক প্রয়োজন রয়েছে- সেগুলোর সাথে গণঅধিকার পরিষদ ঐক্যমত। তবে সে সংস্কার ও রোডম্যাপ রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে করতে হবে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সীমা বেধে দিচ্ছি না।
রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যেহেতু বিগত দিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর জনবল ও জনসমর্থন রয়েছে। এরাই বিভিন্ন সময় রাজপথে আন্দোলন করেছে। সেহেতু রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা না করে সিদ্ধান্ত নিলে সমাজে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে একটি দেয়াল তৈরি হয়।
তিনি আরও বলেন, মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে গণঅধিকার পরিষদ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা এখানে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন। মওলানা ভাসানী ছিলেন উপমহাদেশের একজন উজ্জল নক্ষত্র, মজলুম জননেতা। তিনি সারাজীবন মেহনতী মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তার কোন কাজে ক্ষমতার লোভ ছিল না। তিনি নি:স্বার্থভাবে বাংলার মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মওলানা ভাসানী। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাকে স্মরণ করেনি। এরকমভাবে কখনও তাকে তুলে ধরেনি।
এসময় কেন্দ্রীয় যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য সুজন আহমেদ, টাঙ্গাইল জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মশিউর রহমান, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ফাহাদুল ইসলাম ফাহাদ, সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী, সদর উপজেলা শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক তামান্না ইসলাম তরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।