দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুরে মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দোকানপাট ভাংচুর ও দু’গ্রামবাসীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঠেকাতে গিয়ে বুধবার(৩ মে) বিকালে দুই পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। আহত ঘাটাইল থানার কনস্টেবল এরশাদ ও সুলতানকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদীরা জানায়, ঘাটাইল উপজেলার দিগলকান্দী ইউনিয়েনের নাটশালা ও দিগড় ইউনিয়নের কাশতলা গ্রামের মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে আধিপত্য ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় উভয় গ্রামের মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে ইতোপূর্বে কয়েক দফায় মারামারি হয়। পরে ওই ঘটনা দুই গ্রামেবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর থেকেই হামিদপুর বাজারে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ ছিল। উত্তেজনা ঠেকাতে গত তিন দিন যাবত সার্বক্ষনিক পুলিশ মেতায়েন রাখা হয়। এ ঘটনায় আস্তে আস্তে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ঘনিভুত হয়। মঙ্গলবার(২ মে) ঘাটাইল থানা পুলিশ দু’ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ডেকে মিমাংসার আহ্বান জানান। এ নিয়ে বুধবার(৩ মে) হামিদপুর মাদ্রাসা মাঠে দু’ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে উভয় গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে সালিশি বৈঠক বসে।
সালিশ চলাকালে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মাদক নির্মুলের জন্য ঐকমত্য পোষণ করেন। এরই মধ্যে দিগলকান্দি ইউনিয়নের জনৈক ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়িদের পক্ষে সাফাই গেয়ে বক্তব্য দেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে আবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে দিগলকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মাদক ব্যবসীদের পক্ষ নিয়ে বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরই উভয় গ্রামের উত্তেজিত জনতা হামিদপুর বাজারে দোকান পাটের উপর হামলা চালিয়ে ৪-৫টি দোকান ভাংচুর করে। উভয় পক্ষের উত্তেজনা ঠেকাতে গেলে উত্তেজিত জনতার হাতে পুলিশ কনস্টেবল এরশাদ ও সুলতান আহত হন। বুধবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হামিদপুর বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উভয় গ্রামের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গোপালপুর সার্কেল) রামানন্দ সরকার বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা উত্তেজিত জনতাকে নিষেধ করলে তাদের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের উপর হামলা করে। এতে দু’পুলিশ সদস্য আহত হয়ে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
