দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের টেপীকুশারিয়া (পশ্চিম পাড়া) গ্রামে মঙ্গলবার(৩১ অক্টোবর) ভোরে রমিছা বেগম (৫০) নামে এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন।
পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক বিরোধের কারণে স্বামী গকুল, ছেলে হামিদ ও তার স্ত্রী জামনা বেগম গৃহবধূ রমিছাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গৃহবধূ রমিছার ছেলে আ. হামিদ ও তার স্ত্রী জামনা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার(১ নভেম্বর) রমিছার বড় ছেলে মো. হনিফ বাদি হয়ে তিন জনকে অভিযুক্ত করে ঘাটাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের টেপীকুশারিয়া (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের গকুল হোসেনের স্ত্রী রমিছা বেগম। গকুল-রমিছা তার ছোট ছেলে হামিদের সাথে একই বাড়িতে থাকতেন। ছোটখাট বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত । গত ৩০ অক্টোবর রাতেও তারা ঝগড়া-বিবাদ করে। এ সময় তাদের মধ্যে মারপিটের ঘটনাও ঘটে। পরদিন মঙ্গলবার ভোরে ছোট ছেলে হামিদের ঘরের বারান্দায় গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় রমিছার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় প্রতিবেশীরা। তখন তার নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে এবং ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গৃহবধূ রমিছার ছেলে আ. হামিদ (৩০) ও তার স্ত্রী জামনা বেগমকে (২৩) গ্রেপ্তার করে। রমিছার স্বামী গকুল পলাতক রয়েছেন।
প্রতিবেশি মকবুল হোসেন জানান, গকুল-রমিছা দুজনই খারাপ লোক। ছোট-খাট বিষয় নিয়ে সব সময় ঝগড়া-বিবাদ করত। এ নিয়ে গ্রামে বহুবার দরবার-সালিশও হয়েছে। তারপরও তাদের কোন পরিবর্তন হয়নি। তবে ঘটনাটি হত্যা না আত্বহত্যা তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেন নি।
ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. মোশারফ হোসেন জানান, রমিছার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানান তিনি। ময়না তদন্তের রির্পোট পেলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।