আজ- মঙ্গলবার | ১১ নভেম্বর, ২০২৫
২৬ কার্তিক, ১৪৩২ | রাত ১০:৩১
১১ নভেম্বর, ২০২৫
২৬ কার্তিক, ১৪৩২
১১ নভেম্বর, ২০২৫, ২৬ কার্তিক, ১৪৩২

চলন্তবাসে গণধর্ষণ মামলায় চার জনের যাবজ্জীবন

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে চলন্তবাসে গণধর্ষণ মামলায় চার জনের যাবজ্জীবন ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। বুধবার(২২ মে) দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, বাস চালক হাবিবুর রহমান নয়ন(২৮), হেলপার মো. খালেক ভুট্টো(২৩), আশরাফুল(২৬), সুপারভাইজার রেজাউল করিম জুয়েল(৩৮)। এরমধ্যে রেজাউল করিম জুয়েল পলাতক রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি এসএম নাসিমুল আক্তার।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি নাসিমুল আক্তার নাসিম। তাকে সহায়তা করেন মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি নাসিমুল আক্তার নাসিম এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এছাড়াও বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে গণধর্ষন ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে! এ রায় গণধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে অনেকটাই প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে।
তবে এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামী পক্ষের আইনজীবী শামীম চৌধুরী দয়াল বলেন, এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ন্যায় বিচারের স্বার্থে এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানান তিনি।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল কালিয়াকৈরের মৌচাকে কর্মরত এক গার্মেন্টস কর্মী গৃহবধু টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে ভোর পাঁচটার দিকে ‘বিনিময় পরিবহনের’ একটি বাসে কালিকৈরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এসময় বাসে যাত্রী না থাকার সুযোগে বাসটি কিছুদূর যাওয়ার পর কন্ট্রাক্টর(সুপারভাইজার) বাসের জানালা দরজা বন্ধ করে দেন। পরে গাড়ির চালক হাবিবুর রহমান নয়ন তাকে ধর্ষণ করে। পালাক্রমে বাসের কণ্ট্রাক্টর, হেলপারও ধর্ষণ করে। পরে বাসটি ঢাকা না গিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ রোডের একটি ফাঁকা জায়গায় ধর্ষিতাকে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ভিকটিম স্বামীকে বিস্তারিত জানালে তাঁর স্বামী তাঁকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে ওইদিন গ্রেপ্তার করে। ধর্ষিতার স্বামী বখতিয়ার বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় ৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে চার জনকে আসামী করে চার্জশিট দাখিল করে এবং ছয়জনকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করে। গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামী আদালতে স্বীকাররোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ধর্ষিতা আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দিতে ধর্ষিতা আশরাফুল নামের আরো একজনের নাম উল্লেখ করে। এতে মোট আসামীর সংখ্যা দাড়ায় ১০ জন। মামলার বাদী সহ ৯ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়